Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye
গোনাহগারদের সংশোধন হয়, মসজিদ জনবহুল হয় এবং সমাজে নিজে নেক হওয়ার এবং অন্যকে নেককার বানানোর ব্যবস্থাপনার উপর আমল শুরু হয়ে যায়।
হে আশেকানে রাসূল! আমরা মুসলমান এবং ইসলাম আমাদেরকে অন্যের সম্মানের রক্ষক বানিয়েছে। আমাদেরকে অন্যদের সম্মান তো করতেই হবে এবং একই সঙ্গে অন্যের সম্মান রক্ষাও করতে হবে। যেমন কেউ আমাদের মুসলমান ভাইয়ের গীবত করছে তখন আমাদের উপর কর্তব্য হলো তাকে গীবত থেকে বাধা প্রদান করা * যদি আমরা তাকে বাধা দিতে না পারি তবে সেখান থেকে উঠে যাওয়া, একইভাবে কেউ যদি আমাদের মুসলমান ভাইকে নিয়ে উপহাস করে, তাকে দোষারোপ করে, তার দোষ-ত্রুটি তুলে ধরে তবে আমাদের উচিত কৌশল অবলম্বন করে মুসলমান ভাইয়ের সম্মান রক্ষা করা এবং সওয়াব অর্জন করা। হযরত আবু দারদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী মুহাম্মদ মুস্তাফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের সম্মান রক্ষা করবে, আল্লাহ পাক তাকে কিয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন।
(শরহুস সুনান,খন্ড ৭, পৃষ্টা ৩৪৬ হাদীস:৩৫২৮)
মুসলমানদের সম্মান রক্ষার নববী পদ্ধতি:
হে আশেকানে রাসূল! আসুন পরিশেষে আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কিছু মনোমুগ্ধকর কার্যাবলীর কথা শ্রবন করি, প্রিয় নবী রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর এই মনোমুগ্ধকর কার্যাবলীও মুসলমানদের সম্মান করার ক্ষেত্রে আমাদের পথপ্রদর্শক।
নবী করিম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সর্বদা তাঁর জিহ্বা সংযত রাখতেন এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কথাই বলতেন * আগতদের ভালবাসা দিতেন, ঘৃণা মূলক কোন কথাবার্তা বা কাজ করতেন না * গোত্রের সম্মানিত লোকদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখতেন এবং তাকে সেই গোত্রের সর্দার হিসেবে নিয়োগ করতেন * লোকদেরকে আল্লাহ পাকের ভয়ের উপদেশ দিতেন * সাহাবায়ে কেরামদের খবরা খবর রাখতেন, লোকদেরকে কল্যানকর কথার ভালো দিক সমূহ বয়ান করতেন এবং সেটার প্রতি দৃঢ়তা দিতেন,খারাপ জিনিসকে খারাপ বলতেন এবং তার উপর আমল করা থেকে বিরত রাখতেন, প্রত্যেক বিষয়ে মধ্যম