Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye
দেখুন! যখন একজন মুসলমানের মুখের লালা এত সম্মানিত যে, সেটাকে কোন অপবিত্র স্থানে রাখতে উলামায়ে কেরাম নিষেধ করেছেন তাহলে একটু ভেবে দেখুন! একজন মুসলমানের স্বয়ং নিজের কতটুকু সম্মান হবে?
ইবনে মাজাহ শরীফে রয়েছে, নবী করিম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কাবা শরীফকে সম্বোধন করে বলেন: হে কাবা, তুমি কতইনা পবিত্র, তোমার সুগন্ধি কতইনা বিশুদ্ধ, তুমি কতইনা মহান? তোমার সম্মান কতইনা উঁচু! সেই সত্তার শপথ যার কুদরতি হাতে মুহাম্মদ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রাণ, নিশ্চয়ই একজন মুমিনের সম্মান আল্লাহ পাকের নিকট তোমার সম্মানের চেয়েও বেশি। (ইবনে মাজাহ, কিতাবুল ফিতন, পৃষ্টা ৬৩৩ হাদীস: ৩৯৩২)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! একটু ভাবুন! আল্লাহ পাক মুসলমানকে কেমন সম্মান দান করেছেন। নিঃসন্দেহে শ্রেণীভেদে সম্মানের বৈষম্যতা তো থাকবেই, একজন আল্লাহর অলি এবং একজনের সাধারণ মানুষের সম্মান তো সমান নয়, অনুরুপভাবে আলিমদের সম্মান জনসাধারণের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি কিন্তু সম্মান তো প্রায় সবারই রয়েছে, যার অন্তরে ঈমানের আলো রয়েছে তার মাথায় সম্মানের মুকুটও শোভা পাচ্ছে। তাই আমাদের উচিত প্রতিটি মুসলমানের সম্মান করা, তাদের মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রাখা। আল্লাহর প্রিয় ও শেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের (প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে) তার ঘোড়ার লাগাম ধরে রাখে, তার সেই কাজটি লোভ লালসার কারণে না হয়, কোন ধরনের ভয়ের কারণে না হয় বরং সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য হয়, তাহলে আল্লাহ পাক তাকে ক্ষমা করে দেন।
(মু'জামুল আওসাত, খন্ড ১, পৃষ্টা ২৮৭ হাদীস ১০১২)
পূর্ববর্তী যুগে ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণ করা হতো, তখন সম্মান প্রদর্শনের এই পদ্ধতি ছিল যে, একজন ব্যক্তি ঘোড়ার লাগাম ধরে রাখতো যাতে আরোহী সহজে আরোহন করতে পারে। তদ্রূপ যখন কোন ঘোড়ার আরোহী আসতো তখন অবিলম্বে সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে ঘোড়ার লাগাম ধরে নিতো, যাতে আরোহী সহজে অবতরণ করতে পারে। বর্তমানে সেটার উদাহরণ এরুপ হবে যে, যেমন একজন ব্যক্তি কারে করে আসলো, তখন