Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye
কাউকে উপহাস করার শরয়ী বিধি-বিধান:
হে আশেকানে রাসূল! পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে বসবাসকারী মুসলমানই হোক না কেন, আমাদের উপর আবশ্যক হলো আমরা যেন তার উপহাস না করি। হযরত আল্লামা আব্দুল মুস্তাফা আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেনঃ কোন মুসলমানকে ভাষা বা অঙ্গভঙ্গি বা অন্য কোন উপায়ে অপমান ও অবজ্ঞার উদ্দেশ্যে উপহাস করা হারাম এবং জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মত কাজ। (জাহান্নামের ভয়াবহতা, পৃষ্ঠা ১৭৩)
সামাজিক জীবনের আচার-আচরণের দ্বিতীয় মাদানী ফুলের বর্ণনা দিতে গিয়ে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন :
وَ لَا تَلْمِزُوْۤا اَنْفُسَكُمْ
(পারা ২৬, সূরা হুজরাত: ১)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না।
তাফসীর সিরাতুল জিনানে উল্লেখ রয়েছে, অর্থাৎ মুখে বা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে একে অপরকে দোষারোপ করো না, কারণ মুমিনরা একটি প্রাণের মতো, যখন একজন মুমিনকে দোষারোপ করা হবে ,তখন যেন নিজেকেই দোষারোপ করা হলো।
(তাফসীর সিরাতুল জিনান, ২৬ পারা, সূরা হুজরাত, ১১ নং আয়াত, খন্ড ৯, পৃষ্ঠা ৪৩০)
হায়! এখন অন্যকে দোষারোপ করার মহামারীও আমাদের মধ্যে বহুল প্রচলিত। কেউ সুন্নতের উপর আমল করলে, উঠা-বসা, হাঁটা-চলা, খাওয়া-দাওয়া, পরিধান ইত্যাদি সুন্নত মোতাবেক করলে তাকে নিন্দার তীর বর্ষণ করা হয় * গরিবের দারিদ্রতার প্রতি নিন্দা করা হয়, কখনো কাউকে নিকৃষ্ট মনে করে তাকে দোষারোপ করা হয় (অথচ কেউ তুচ্ছ বা মূল্যহীন নয় সম্মানের ভিত্তি হল আল্লাহ ভীরুতা) * কেউ যদি শ্রমিক হয় তবে তার শ্রমের কারণে তাকে দোষারোপ করা হয়, কেউ যদি ঠেলাগাড়ি চালায় তবে তাকে ঠেলাগাড়ি চালানোর কারণে দোষারোপ করা হয়, যার ঘরে শুধুমাত্র কন্যা সন্তান জন্ম নেয় পুত্র সন্তান না হয় (অথচ কন্যা সন্তান আল্লাহর রহমত তা সত্ত্বেও) তাকে দোষারোপ করা হয়। সম্পকের্র লেনদেন হোক বা আল্লাহ না করুক বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়াদি তাহলে