Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye
মানুষের গোপনীয় বিষয়াদি এবং দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের করার অপচেষ্টাকে অনুসন্ধান বলে। (হাদিকায়ে নাদিয়া, খন্ড ৩, পৃষ্টা ১৬০) উদাহরণস্বরূপ কাউকে জিজ্ঞাসা করা: গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন, ফজরের নামায পড়েন কি-না? কেউ চাকর নিয়োগ করলো তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা নতুন কর্মচারী সঠিকভাবে কাজ করে কি-না? শরীয়তের অনুমতি ব্যতীত এই প্রশ্ন করা অপরের দোষ অন্বেষণ করা এবং এই প্রশ্নের উত্তরে ঝুঁকি রয়েছে যে, যাকে জিজ্ঞাসা করা হবে সে কর্মচারীর ব্যাপারে কাজ চোর, হারামখোর ইত্যাদি বলে গুনাহগার হয়ে যাবে। তদ্রূপ শরীয়তের অনুমোদন ব্যতীত কারো কোন দোষ খুঁজার জন্য তার পিছু করা, তার ঘরে উঁকি মারা ইত্যাদি ও অনুসন্ধানের অন্তর্ভুক্ত।
অনুসন্ধান সংক্রান্ত দুটি হুকুম (১) মুসলমানের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করা হারাম (২) যদি কোনো চাকর রাখার বা কোথাও বিয়ে করার নিয়্যত থাকে তবে প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা গুনাহ নয়।
(গুনাহো কে আযাবাত, ১ম অংশ, পৃষ্টা ৩২)
মুসলমানদের দোষত্রুটি অন্বেষণ করার নিন্দা:
হাদীসে পাকে রয়েছে: আল্লাহর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: হে লোকসকল যারা শুধুমাত্র মুখে ঈমান এনেছো, কিন্তু ঈমান এখনো তোমাদের অন্তরে প্রবেশ করেনি! মুসলমানদের গীবত করো না এবং তাদের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করো না, কারণ যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করবে আল্লাহ পাক তার দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করে দিবেন আর আল্লাহ পাক যার দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করবেন তাকে লাঞ্ছিত করে দিবেন, যদিও সে তার ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকে)
(আবু দাউদ, পৃষ্টা ৭৬৫, হাদীস:৪৮৮০)
হে আশেকানে রাসূল! এ থেকে জানা গেল, মুসলমানদের গীবত করা এবং তাদের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করা মুনাফিকদের কাজ, এটাও জানা গেল যে, অপরের দোষ ত্রুটি অন্বেষণ করার পরিণাম লাঞ্ছনা ও অপমান কারণ অপরের দোষ ত্রুটি অন্বেষণ করবে নিঃসন্দেহে তার মধ্যেও কোন না কোন দোষ অবশ্যই বিদ্যমান থাকবে। আর সম্ভাব্য যে সেই দোষটি এমনও হতে পারে যা প্রকাশ পেলে সে সমাজে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হবে।