Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye
আল্লাহ পাকের নিকট তুচ্ছ । বান্দা গরীব হোক, অসহায় হোক যদি সে মুসলমান হয় তবে সে সম্মানিত।
(তাফসীর সিরাতুল-জিনান পারা ২৮ সূরা মুনাফিকুন আয়াত নং ৮, খন্ড ১০, পৃষ্টা ১৬৯)
মুসলমানের মুখের লালাও সম্মানিত:
বাহারে শরীয়তে একটি মাসয়ালা লিখা হয়েছে, এর সারমর্ম হলো, একটি মিসওয়াক যা একজন মুসলমান ব্যবহার করেছে, যখন সেই মিসওয়াকটি আর ব্যবহার উপযোগী থাকে না (উদাহরণস্বরূপ এটি খুব ছোট হয়ে যায় যেটা ভালোভাবে ধরা যায় না) তাহলে সেই মিসওয়াকটি হয়ত দাফন করে দিবে নতুবা সাবধানে কোন নিরাপদ স্থানে রেখে দিবে, এই ব্যবহৃত মিসওয়াকটি এদিক সেদিক ফেলে দেওয়া সঠিক নয়। অবশেষে এর কারণ কি?হিকমত কী যে, মিসওয়াকের এত আদব বজায় রাখা? মুফতি আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর দুটি হিকমত লিপিবদ্ধ করেন: (১) মিসওয়াক সুন্নাতের একটি উপকরণ অর্থাত এই ছোট কাঠের টুকরা যাকে মিসওয়াক বলা হয় এই কাঠটি রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর একটি আমলের সাথে সম্পর্ক হয়ে গেছে , একজন মুসলমান বান্দা এই কাঠটি সুন্নাতে মোস্তফার আদায়ের জন্য ব্যবহার করেছে, তাই এই কাঠের টুকরোটি সুন্নাতে মোস্তফার সাথে সম্পর্ক হওয়ার কারণে সম্মানজনক হয়ে গেছে)। (২) দ্বিতীয় হিকমত হলো, মুসলমানের লালা (অর্থাৎ মুসলমানের মুখের লালা) পবিত্র। যেহেতু মিসওয়াকটি মুসলমানের মুখের মাঝে ব্যবহৃত হয়েছে তাই তাতে মুসলমানের যে লালা রয়েছে তার সম্মানার্থে মিসওয়াকটি হয় দাফন করতে হবে নতুবা নিরাপদ স্থানে রেখে দিতে হবে যাতে মুসলমানের মুখের লালার অবমাননা না হয়। মুফতি আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আরও বলেনঃ উলামায়ে কেরামগণ বলেনঃ বাথরুমে (অর্থাৎ ওয়াশরুমে) থুতু ফেলা নিষেধ, কারণ কী? কেন নিষেধ ? কেননা মুসলমানের লালা পবিত্র আর বাথরুমের মতো একটি অপবিত্র স্থানে সেই পবিত্র বস্তুটি ফেলা অনুচিত । (বাহারে শরীয়ত, খন্ড ১, পৃষ্টা ২৯৪, ২য় অংশ)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! অনুমান করুন! যখন একটি মিসওয়াকের প্রিয়নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সাথে নয় বরং তাঁর একটি সুন্নাতের সাথে সম্পর্ক হওয়ার কারণে সেটি সম্মানিত হয়ে যায়, তবে যে ব্যক্তির সম্মানিত নবী রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সাথে ঈমানের সম্পর্ক হয়ে যায়, তার সম্মান কতটুকু হবে...? তাহলে এটাও ভেবে