Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye
গালিগালাজ করে, কিছু লোক প্রথমে গালি দেয় পরে কথা বলে, তারা সবাই যেন এই হাদীস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। (মিরআতুল মানাজিহ, খন্ড ৬, পৃষ্টা ৪৬৯)
(৩) একে অপরের মন্দ নাম রেখো না....!
সামাজিক জীবনের শিষ্টাচার হতে তৃতীয় শিষ্টাচার সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এটা বলা হয়েছে :
وَ لَا تَنَابَزُوۡا بِالۡاَلۡقَابِ ؕ
(পারা ২৬, সূরা হুজরাত:১১)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: একে অপরের মন্দ নাম রেখো না।
হাকীমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উপরোক্ত আয়াতের টিকায় বলেন, অর্থাৎ (অর্থাৎ ঐ নাম) যে নামগুলো তাদের অপছন্দ লাগে (ঐ নামে তাদের ডেকো না) যেমন কাউকে লম্বা, মোটা, কালো ইত্যাদি শব্দাবলী দ্বারা আহ্বান করা।
(খাযায়িনুল ইরফান, পারা ২৬ সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১, পৃষ্টা ৯৫০)
আফশোস! আজকাল আমাদের সমাজে এই মন্দকাজটিও বহুল প্রচলিত হয়ে যাচ্ছে। একজন মানুষের আসল নাম অনেক সুন্দর, তারপরও মানুষ কেন যে অন্যকে খারাপ নামে ডাকে । যার যে নাম রয়েছে তাকে সেই নামেই ডাকা উচিত, নিজের পক্ষ থেকে কারে মন্দনাম রাখা যেমন লম্বা, বেটে ইত্যাদি উচিত নয়। সাধারণত এরকম নাম দ্বারা আহবান করলে সম্মুখস্থ ব্যক্তির মনে কষ্ট পায় এবং সে তার প্রতি রাগান্বিতও হয়, এতদসত্ত্বেও আহ্বানকারী ইচ্ছাকৃতভাবে বারংবার মজা নেয়ার জন্য সেই মন্দনামেই ডাকে। আমার আক্বা আলা হযরত শাহ ইমাম আহমদ রযা খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেছেন: কোন মুসলমানকে এমনকি অমুসলিম যিম্মিকেও শরিয়তের অনুমোদন ছাড়া এমন শব্দাবলী দ্বারা আহ্বান করা যা তার হৃদয় ভেঙে দেয়, সে কষ্ট পায়, শরীয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েয এবং হারাম, যদিওবা কথা সত্যি হয়। (ফাতোওয়ায়ে রজভিয়া,খন্ড ২৩,পৃঃ২০৪)
যেমন কারো গায়ের রং যদি সত্যিই কালো হয়, এতদসত্ত্বেও তাকে কালো বলে ডাকলে তার অন্তরে আঘাত লাগে , তাই তাকে এভাবে ডাকা না জায়েয ও হারাম হবে।