Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye
হযরত উমাইর ইবনে সা'দ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি কাউকে তার নাম ব্যতীত বিপরীত নামে ডাকে (অর্থাৎ খারাপ উপাধি দিয়ে) ফেরেশতারা তাকে অভিশাপ দেয়। (জামে সগীর, পৃষ্টা ৫২৫ হাদীস:৮৬৬৬)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
সামাজিক জীবনের শিষ্টাচারের মধ্যে থেকে চতুর্থ শিষ্টাচার বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন :
اَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ
(পারা ২৬, সূরা হুজরাত: ১২)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে ঈমানদ্বারগণ! তোমরা বহুবিধ অনুমান থেকে দূরে থাক; নিশ্চয় কোন কোন অনুমান পাপ হয়ে যায়।
তাফসীরে সিরাতুল জিনানে উল্লেখ রয়েছে, আয়াতের এই অংশে আল্লাহ পাক মুসলমানদেরকে অতিরিক্ত অনুমান করা থেকে নিষেধ করেছেন, কারণ কিছু অনুমান রয়েছে যা নিছক গুনাহ, তাই সতর্কতামূলক প্রয়োজনোতিরিক্ত ধারণা থেকে বেঁচে থাকা উচিত।
(তাফসীর সিরাতুল জিনান, পারা ২৬, সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২, খন্ড ৯, পৃঃ৪৩৩)
উলামায়ে কেরামগণ বলেনঃ অনুমান (অর্থাৎ শরীয়তের বিধান অনুযায়ী আমাদের অন্তরে আগত ধারণা) তিন প্রকার: (১) ওয়াজিবঃ যেমন আল্লাহ পাকের প্রতি সুধারণা রাখা (২) মুস্তাহাব: যেমন একজন সৎ মুসলমানের প্রতি সুধারণা রাখা। (৩) হারাম এবং নিষিদ্ধ: যেমন মহান আল্লাহর প্রতি কুধারণা রাখা, তদ্রূপ কোন মুসলমানের ব্যাপারে কুধারণা করাও হারাম। (তাফসীর সিরাতুল জিনান, খন্ড ৯, পৃষ্টা ৪৩৩)
হযরত আবু হুরায়রা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: কুধারণা থেকে নিজেকে রক্ষা করো, কেননা কুধারণা সবচেয়ে নিকৃষ্ট মিথ্যা। (মুসলিম, পৃষ্টা ৯৯৪, হাদীস: ২৫৬৩)