Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye
অন্যজন দ্রুত এগিয়ে গিয়ে সেটার দরজা খুলে দিবে, আমি, আর এই কাজের মাধ্যমে কোন লোভ লালসাও না থাকে যেমন, মালিক সাহেব অথবা কোন নিগরান সাহেব, আমি যদি তাকে সম্মান করি, তাহলে তিনি আমার জন্য দয়ার দরজা খুলে দেবেন, এবং অন্তরে কোন প্রকার ভয়ও বিরাজ না করে যেমন মালিক সাহেব অথবা নিগরান সাহেব এসেছেন যদি সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে গেইট খুলে না দেই তাহলে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা শোনাবে অথবা অসন্তুষ্ট হয়ে যাবে যদি এমন কোন কিছু না থাকে, লোভ লালসাও না থাকে, কোন ভয়ও বিরাজ না করে, বরং বান্দা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তার মুসলমান ভাইয়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তবে আল্লাহ পাক সেটার বরকতে সেই সম্মান প্রদর্শন কারীকে ক্ষমা করে দিবেন।
سُبْحٰنَ الله আল্লাহ পাক আমাদের অন্যকে সম্মান করার তৌফিক দান করুন।
اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖیْن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
আল্লাহ পাকের শেষ রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বলেন: کُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَی الْمُسْلِمِ حَرَامٌ دَمُہٗ وَمَالُہٗ وَعِرْضُہٗ অর্থাৎ প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত, সম্পদ, সম্মান অপর মুসলমানের উপর হারাম। (মুসলিম, পৃষ্টা, ১৩৮৬ হাদীস:২৫৬৪) মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেন: কোন মুসলমান অপর মুসলমানের সম্পত্তি তার অনুমতি ব্যতীত নিবে না, কারো সম্মানহানি (অর্থাৎ অসম্মান) করবে না, কোন মুসলমানকে অন্যায় ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করবে না, কারণ এসবই অকাট্য হারাম। (মিরআতুল মানাজিহ, খন্ড ৬, পৃষ্টা ৫৫৩) মুফতি সাহেব অন্যত্র লিখেন: মুসলমানকে মনে মনেও তুচ্ছ ভেবো না! এবং অবজ্ঞার শব্দাবলী দ্বারাও আহ্বান করিও না, মন্দ উপাদি দ্বারাও স্বরণ করো না, তার সাথে ঠাট্টা বিদ্রুপ করো না! বর্তমানে আমাদের মাঝে এই ত্রুটিটি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, পেশা, বংশ বা দারিদ্র্যের কারণে মুসলমান ভাইকে তুচ্ছ মনে করে যে, সে পাঞ্জাবি, বাঙালি, সিন্ধি, সীমান্তবাসী, ইসলাম এই সব বৈষম্যতা মুছে দিয়েছে। মৌমাছি যখন বিভিন্ন ফুলের রস চুষে খায় তখন