Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye
কেমন আচরণ করা উচিত, এ প্রসঙ্গে সূরা হুজুরাতে ৬টি মাদানী পুস্পধারা চমৎকারভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
আসুন! পবিত্র কোরআনে প্রদত্ত এই ৬টি মাদানী ফুল শুনি এবং আজ থেকে সেগুলো নিজেদের চরিত্রের অংশ করার চেষ্টা করি। اِنْ شَآءَ الله
আল্লাহ পাক ২৬ তম পারার সূরা হুজুরাতের ১১ নম্বর আয়াতে এরশাদ করেন:
يَا يُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَر قَوْمٌ مِنْ قَوْمٍ عَلَى أَن يَكُونُوا خَيْرٌ مِنْهُمْ وَلَا نِسَاءٌ من نِسَاءٌ عَسَى أَنْ يَكُنَّ خَيْرًا مِنْهُنَّ
(পারা ২৬, সূরা হুজরাত: ১১)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে ঈমানদ্বারগণ!না পুরুষ পুরুষদেরকে বিদ্রুপ করবে,এটা বিচিত্র নয় যে,তারা ঐ বিদ্রুপকারিদের চেয়ে উরম,এবং না নারীগন নারীদেরকে বিদ্রুপ করবে,এটাও বিচিত্র নয় যে,তারা এই বিদ্রুপকারীনীদের অপেক্ষা উওম হবে।
একজন মুসলমানের সম্মান ও শ্রদ্ধার অর্থ হলো, তাকে নিয়ে কোনো ভাবেই উপহাস না করা। আয়াতে কারীমার এই অংশে এই শিক্ষাটুকুই দেওয়া হয়েছে যে, কোন পুরুষ যেন অন্য কোন পুরুষকে এবং কোন নারী যেন অন্য কোন নারীকে নিয়ে উপহাস না করে।
কেননা প্রত্যেকেরই নিজস্ব রুচিবোধ থাকে, নিজস্ব জীবনযাপনের পদ্ধতি থাকে, আমরা কারো কোন কাজের সমালোচনা করতে পারি না, কারো পোশাক, জীবনযাত্রার সমালোচনা করতে পারি না, এমনকি যদি কেউ গুনাহগারও হয় তবে তাকে উত্তম পদ্ধতিতে সৎ কাজের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে, তবুও তাকে নিয়ে উপহাস করা যাবে না।
বর্তমানে এই মহামারী আমাদের মধ্যে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে ô কেউ সুন্নতরূপী দাড়ি মুখে সাজালে তাকে নিয়ে সমালোচনা, কেউ পাগড়িরূপী মুকুট মাথায় সাজালে তাকে নিয়ে সমালোচনা, কেউ সুন্নত অনুযায়ী অর্ধ গোড়ালি পর্যন্ত পাঞ্জাবী পড়লে তাকে নিয়ে সমালোচনা, অন্যেকে নকল করে তার ধরনকে উপহাস করা, এমনকি কিছু অজ্ঞ লোকেরাও প্রাকৃতিক সৃষ্টিকে নিয়ে উপহাস করতে দ্বিধাবোধ করে না।