Musalman Ki Izzat Kijiye

Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye

    আল্লাহ পাক আমাদেরকে অন্যের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করা থেকে বাঁচার, নিজের দোষ খুঁজে বের করার এবং সংশোধন করার তাওফীক দান করুক

اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖیْن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

(৬) গীবত করো না..!

    সামাজিক শিষ্টাচারের ষষ্ঠ শিষ্টাচার হলো কোনো মুসলমান ভাইয়ের গীবত না করা আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন :

 

وَلَا يَغْتُبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর একে অপরের গীবত করো না

 

গীবত কাকে বলে ?

    কারো ব্যাপারে তার অনুপস্থিতিতে এমন কিছু বলা যে, যদি সে তা শুনে বা তাঁর নিকট পৌছায় তবে অপ্রীতিকর লাগে তাকে গীবত বলে (গীবত কি তাবাহকারিয়া,পৃষ্টা ৪৩৮) যেমন কেউ বৈঠক থেকে চলে যাওয়ার পর এভাবে বলা: বন্ধু! সে তো চলে গেলো, প্রাণে বাঁচা গেল, * অনেক চালাক * কথায় হ্যাঁ হ্যাঁ করে হাসে ইত্যাদি তদ্রপ মুস্তাহাব নফল সমহে অলসতাকারীদের জন্য এরুপ বলা: সে জীবনে কখনো আশুরার রোজা রাখেনি সে আওয়াবিন কি পড়বে, তাকে জিজ্ঞেস করো এই নফলগুলো কখন আদায় করা হয়, সে তাবাররুক বলে সিরনি তো খেয়ে নেয় কিন্তু কখনো চাঁদা দেয় না (গুনাহো কে আযাবাত, খন্ড , পৃষ্টা ২৭)

গীবত এর ব্যাপারে হুকুম:

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এটাও একজন মুসলমানের সম্মানের অন্তর্ভুক্ত যে, আমরা যেন তার গীবত না করি, না শুনি () গীবত করা কবিরা গুনাহ, অকাট্য হারাম এবং জাহান্নামের নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ () গীবত হালাল সাব্যস্ত কারী কাফের, ইসলামের সীমারেখার বাহিরে () গীবতকারী ফাসেক গোনাহগার এবং জাহান্নামের শাস্তির যোগ্য
(
) শরয়ী অপারগতা ব্যতীত গীবত শ্রবণকারীও গীবতকারীর ন্যায় গুনাহগার হয় (গুনাহো কে আযাবাত, খন্ড , পৃষ্টা ২৭)