Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye
কুধারণার দ্বীনি ও পার্থিব ক্ষয়ক্ষতি:
তাফসীরে সিরাতুল জিনানের রয়েছে: (১) যার সম্বন্ধে কুধারণা করেছে যদি তার সামনে তার বহিঃপ্রকাশ করে দেয়, তবে তার অন্তরে কষ্ট পেতে পারে এবং শরীয়তের অনুমতি ব্যতীত কোনো মুসলমানকে কষ্ট দেয়া হারাম। (২) যদি মুসলমানের সামনে তার সম্পর্কেকৃত কুধারণা প্রকাশ করে নি বরং তার তার পিছনে করে তবে তা হবে গীবত আর কোনো মুসলমানের গীবত করাও হারাম। (৩) কুধারণা পোষণ কারী শুধু অনুমান করেই ক্ষান্ত হয় না, বরং সে তার সামনের ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করতে থাকে আর কোনো মুসলমানের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করাও গুনাহ। (৪) কুধারণার ধ্বংসাত্মক বস্তুসমূহের মধ্যে এটি রয়েছে যে, কুধারণার মাধ্যমে হিংসা বিদ্বেষের মত ভয়ংকর গোপন রোগের সৃষ্টি হয়। (৫) কুধারণা করার দ্বারা দুই ভাইয়ের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়, শাশুড়ি ও পুত্রবধূ একে অপরের বিরুদ্ধে হয়ে যায়, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস উঠে যায়। কুধারণার কারণে কথায় কথায় পরস্পরের মাঝে ঝগড়াবিবাদ সৃষ্টি হয় এক পর্যায়ে সেটি বিবাহবিচ্ছেদের উপক্রম হয়, কুধারণার কারণে ভাই বোনের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয় আর এভাবেই একটি হাস্যোজ্জ্বল সংসার বিরান হয়ে যায়। (৬) অন্যদের প্রতি কুধারণা পোষণকারীদের প্যারালাইসিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যেমনটি সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যারা অন্যদের সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা করে এবং এর কারণে মানসিক চাপ এবং রাগের মধ্যে থাকে, তাদের মাঝে ৮৬% হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
(তাফসীর সিরাতুল জিনান, খন্ড ৯, পৃষ্টা ৪৩৬)
আল্লাহ পাক আমাদেরকে কুধারণার বিপদ থেকে রক্ষা করুন।
اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖیْن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
(৫) কারো দোষ অন্বেষণ করো না...!
সামাজিক জীবনের শিষ্টাচারের মধ্যে পঞ্চম শিষ্টাচার হল :
وَّ لَا تَجَسَّسُوْا
(পারা ২৬, সূরা হুজরাত: ১২)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং দোষ তালাশ করো না।