Musalman Ki Izzat Kijiye

Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye

    হাকীমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, হারাম শরীফের সীমারেখায় যেমন একটি নেক আমল এক লাখে পরিণত হয়, তেমনি একটি গুনাহও এক লাখে পরিণত হয়, এজন্যই হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বলেছেন: যেমন এখানে অন্য স্থানের তুলনায় গুনাহ মারাত্মক, তেমনই একজন মুসলমানের রক্ত, সম্পত্তি, সম্মান বিনষ্ট করাও কঠিনতর (মিরআতুল মানাজিহ, খন্ড , পৃষ্টা ১৭৩)

মুসলমানকে কষ্ট দেওয়া মারাত্মক গুনাহ:

    মুফতি সাহেব এক জায়গায় বলেনঃ অর্থাৎ যেমনিভাবে যিলহজ্জ মাসে বিশেষ করে আরাফার দিন, হারাম শরীফের ভূমিতে গোনাহ করা সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ কারণ এটি ৩টি অপরাধের সংমিশ্রণ: () গুনাহ করা একটি অপরাধ () পবিত্র স্থানের সম্মানহানি করা দ্বিতীয় অপরাধ () সম্মানজনক তারিখ, মাসের বেয়াদবী করা তৃতীয় অপরাধ তেমনিভাবে একজন মুসলমানের রক্ত ঝরানো, সম্পদ আত্মসাৎ করা (এবং সম্মানহানি করা) এমন অনেক অপরাধের সমষ্টি, কেননা এটি জুলুমও বটে, এটি আল্লাহ অসন্তুষ্টিরও কারণ নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কষ্টের কারণ (মিরআতুল মানাজিহ খন্ড পৃষ্টা ১১৫)

    আল্লাহর শেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: مَنْ اٰذٰی مُسْلِمًا فَقَدْ اٰذٰنِی যে একজন মুসলমানকে কষ্ট দিল সে মূলত আমাকেই কষ্ট দিল

(মুজামু আউসাত, খন্ড ,পৃঃ ৩৮৭, হাদিসঃ ৩৬০৭)

মুসলমানকে অসম্মান করার কয়েকটি উদাহরণ:

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আহ! আফশোস...! এখন আমাদের সমাজে অন্যকে অপমান করা খুবই সাধারণ মনে করা হয়, কখনও কখনও অন্যকে ঠাট্টা বিদ্রুপের ভিত্তিতে অপমান করা হয়। কেউ অন্যের উপর মৌখিকভাবে ঝগড়া করে এবং মান সম্মান খর্ভ করে। কারো দারিদ্র্যতাকে তিরস্কারের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। কারো ব্যাক্তিত্বকে  তুচ্ছ মনে করে তাকে সমাজে অপমানিত করা হয়। যার ঘরে শুধুমাত্র কন্যা সন্তান রয়েছে পুত্র সন্তান নেই তাকে কটূক্তি করা হয়। মালিক কর্মচারীকে অপমান করতে দ্বিধাবোধ করে না, সবার সামনে তার মান সম্মানকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। দান খয়রাত করতে চাইলে কিছু ধনী ব্যক্তি খ্যাতির নিমিত্তে গরীবদের ছবি তোলে, নিজেদের তথাকথিত উদারতার চর্চা করে এবং দরিদ্রদের আত্মসম্মান নিয়ে খেলা করে  * কখনো কখনো বিয়ের উৎসবে গরিব