Book Name:Musalman Ki Izzat Kijiye
অতএব দোষ অন্বেষণকারীদের ভয় করা উচিত যে, তাদের এই কাজের কারণে মহান আল্লাহ যেন তাদের লুকানো দোষগুলো প্রকাশ না করে দেন, যার মাধ্যমে সে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হতে পারে।
নেক আমল নাম্বার ৪৪ এর প্রতি উৎসাহ প্রদান:
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নেক নামাযী হতে, গুনাহ পরিহার করতে, মুসলমান ভাইদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার প্রেরণা পেতে এবং অন্যের দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখার মানসিকতা পেতে দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশে সম্পৃক্ত হয়ে যান এবং ১২টি দ্বীনি কাজে বেশি পরিমাণে অংশগ্রহণ করুন, নেক আমলের প্রতি আমল এবং মাদানী কাফেলায় সফর করুন। اَلْحَمْدُ لِلّٰه শায়খে তরিক্বত আমীরে আহলে সুন্নত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ আমাদের প্রশিক্ষণের জন্য ৭২টি নেক আমল প্রদান করেছেন। সেগুলোর প্রতি আমল করে আমরা অসংখ্য গুনাহ থেকে বিরত থাকতে পারবো এবং নেকীর উপর আমল করতে পারবো, সেই নেক আমলসমূহের মধ্য থেকে ৪৪ নাম্বার নেক আমলটি হলো, আজ আপনি কোনো মুসলমানের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ পেলে শরীয়তের অনুমোদন ব্যতীত তার দোষ-ত্রুটি অন্য কারো নিকট প্রকাশ করেননি তো? এই নেক আমলের প্রতি আমল করার বরকতে আমরা অন্যের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করার গুনাহ থেকে বাঁচতে পারবো। আমাদের উচিত নিয়মিত ৭২ টি নেক আমলের পুস্তিকাটি পূরণ করে প্রত্যেক মাসের প্রথম ৫ তারিখের মধ্যে নিজ এলাকার জিম্মাদারের নিকট জমা করিয়ে দেওয়া। আল্লাহ পাক আমাদের নেক আমলের আমলকারী এবং মাদানী কাফেলার মুসাফির বানিয়ে দিক আমীন।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের উচিত শরীয়তের সীমারেখার ভেতরে থেকে অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা। বুখারী শরীফের হাদীসে রয়েছে, আল্লাহর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে , আল্লাহ পাক কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। (বুখারী, পৃষ্টা ৬৩০, হাদীস:২৪৪২)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا বলেন, যখন তুমি তোমার সঙ্গীর দোষ-ত্রুটি উল্লেখ করতে চাও, তখন তোমার নিজের দোষগুলো স্মরণ করো। (শুয়াবুল ঈমান, খন্ড ৫, পৃষ্টা ৩১১ হাদীস:৬৭৫৮)