Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

    থেকে জানা গেলো, সমষ্টিগতভাবে পশুপাখি মানুষের তুলনায় অধিক হারে আল্লাহ পাকে জিকির করে, হ্যাঁ মানুষের মধ্যেও এমন রয়েছে যারা অধিক হারে আল্লাহ পাকে জিকির করে কিন্তু মানুষের একটি বিশাল দল রয়েছে যারা অলসতার শিকার হয়ে থাকে অবশ্যই পশুপাখি সাধারণত আল্লাহ পাকে জিকিরকারী হয়ে থাকে সুতরাং আল্লাহ পাক আমাদেরকে পশু কুরবানী করার নির্দেশ দিয়েছেন এতে রহস্য হলো, মাংস খেলে মেধা বিকাশ ঘটে, দেহের শক্তি বল বৃদ্ধি পায় আর মাংসের বৈশিষ্ট্য হলো, এটি মানুষের প্রকৃতিকে প্রভাবিত করে

    তাই আমাদের উপর হালাল পশু কুরবানী দেয়া আবশ্যক করা হয়েছে, যাতে আমরা সেই জিকিরকারী মাংস ভক্ষণ করি যা দ্বারা আমাদের মেধাবিকাশ ঘটবে, যখন জিকিরকারী পশুর মাংসের মাধ্যমে মেধাবিকাশ ঘটবে তখন সেই মেধা নেকীর দিকে অধিক অনুরাগী হবে এতে কুমন্ত্রণা অল্পহারে আসবে, এমন মেধা ইতিবাচক চিন্তাধারার অধিকারী হয়ে যাবে

    এভাবে আল্লাহ পাকে জিকিরকারী পশুর মাংস আমাদের দেহের অংশ হয়ে যাবে, আমাদের স্বভাবের অংশ হয়ে যাবে, যাতে অবহেলা দূর হবে এবং মানুষ অধিকহারে আল্লাহ পাকে জিকিরকারীতে পরিণত হবে

(লতায়িফুল মা'আরীফ ৩৯০ পৃষ্ঠা)

    আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উক্ত মাদানী ফুলটি উল্লেখ করার পর বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকে আনুগত্য করে, অধিকহারে আল্লাহ পাকে জিকির করে, সে যেন এই পশুগুলোকে জবাই করে, তারপর মাংস খায়, তারপর সে সেই মাংস থেকে অর্জনকৃত শক্তিকে গুনাহের কাজে ব্যয় করে, তাহলে সে যেন বিষয়টিকে উল্টা করে দিলো, কৃতজ্ঞতার পরিবর্তে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো এমন নির্বোধ লোক থেকে তো চতুষ্পদ জন্তু বহু গুণে উত্তম (লতায়িফুল মা'আরীফ ৩৯০ পৃষ্ঠা)