Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

পশু জবাই করার সময় তাদের উপর আল্লাহ পাকে নাম উচ্চারণ করে

(তাফসীরে সিরাতুল জিনান, পারা: ১৭ সূরা হজ্ব, আয়াত ৩৪, ৪৪৩ পৃষ্ঠা)

(১) কুরবানী হলো নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও একত্ববাদ আকীদার বাস্তব প্রকাশ

    জাহেলী যুগে মানুষ তাদের মিথ্যা উপাস্যদের উদ্দেশ্যে কুরবানী করতো এবং জবাই করার সময়ও তাদের নাম নিতো, মুশরিকদের এই শিরককে খন্ডন করতে গিয়ে মহান আল্লাহ পাক বলেন: :

 

لِّیَذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ عَلٰی مَا رَزَقَہُمۡ مِّنۡۢ بَہِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ ؕ       فَاِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ  وَّاحِدٌ فَلَہٗۤ اَسۡلِمُوۡا ؕ

(পারা ১৭, সূরা হজ্জ, আয়াত ৩৪)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: যেন তারা আল্লাহ নামে নেয় তার প্রদত্ত বাকশক্তিহীন চতুষ্পদ পশুগুলোর উপর, অতএব তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্যই, সুতরাং তারই সম্মুখে আত্মসমর্পণ করো

    অর্থাৎ আল্লাহ পাক তোমাদের রিজিকদাতা, আল্লাহ পাক এই প্রাণীগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, আল্লাহ পাক এই শক্তিশালী প্রাণীগুলোকে তোমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন করেছেন এবং মহান আল্লাহ পাক তোমাদেরকে এগুলো জবাই করার এবং গোশতের মাধ্যমে শক্তি অর্জন করার অনুমতি দিয়েছেন তোমাদের প্রভু কেবল একজনই, সুতরাং পশু জবাই করার সময় তাঁর নাম নাও! তাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো! এবং তাঁরই সামনে মাথা নত করো!

    হে আশিকানে রাসূল! জানা গেলো, আল্লাহ পাক আমাদেরকে পশু সংক্রান্ত যে পুরস্কার দিয়েছেন, পশু সৃষ্টি করেছেন, সেগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে দিয়েছেন, তাদের মাংস আমাদের জন্য হালাল করেছেন, কুরবানী এসব পুরস্কারের কৃতজ্ঞতা ও এবং একই সঙ্গে এতে একত্ববাদের বহিঃপ্রকাশ। অর্থাৎ সারা বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশু