Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

কুরবানী জাহান্নাম থেকে অন্তরাল হয়ে যাবে

    আল্লাহ পাকে রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: مَنْ ضَحَّی طِیْبَۃَ نَفْسِہٖ مُحْتَسِبًا لِاُضْحِیَتِہٖ کَانَتْ لَہٗ حِجَابًا مِّنَ النَّار অর্থাৎ যে ব্যক্তি আনন্দচিত্তে সাওয়াবের আশায় কুরবানী করবে, এই কুরবানী তার পক্ষে জাহান্নাম থেকে অন্তরাল হয়ে দাঁড়াবে (জামে সগীর, ৫৩৩ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৮৮২৫)

কুরবানী গুনাহের কাফফারা

    অপর একটি হাদীস শরীফের ব্যাখ্যা হলো: কুরবানীর পশুর প্রথম ফোঁটা রক্তের বিনিময়ে আল্লাহ পাক কুরবানীদাতার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেন (জামে সগীর, ৫৩৩ পৃষ্ঠা হাদীস: ৮৮২৫)

    হে আশিকানে রাসূল! চিন্তার বিষয়! গুনাহ কে করে? অবশ্যই মানুষ করে, পশুপাখি তো শরীয়তের আওতাধীন নয় তারা তো গুনাহ করে না, কিন্তু দেখেন! মানুষের গুনাহের কাফ্ফারা কে হচ্ছে? নিরাপরাধ প্রাণী এই অর্থে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, আমাদের প্রতি এই প্রাণীটির কত বড় অনুগ্রহ রয়েছে যে, আমরা গুনাহ করেছি আর এই নিরীহ প্রাণীটি তার জীবন উৎসর্গ করে আমাদের গুনাহের কাফফারা দিচ্ছে

    এতে সেই লোকদের জন্য শিক্ষা রয়েছে যারা কুরবানীর সময় রং তামাশায় মেতে উঠে, পশুর প্রাণ বের হতে দেখে, তার ছটফট করার আওয়াজ শুনে উল্লাসে মেতে উঠে এবং আল্লাহ পানাহ! কিছু নির্বোধ তো হাত তালিও দেয় হায়! এটা তামাশা দেখার সময় নয় বরং নিজের গুনাহের প্রতি অনুতপ্ত হওয়ার এবং এই প্রাণীর প্রতি অনুগ্রহ করার সময়

    হে আশিকানে রাসূল! আমাদের ভয় করা উচিত, শিক্ষা নেওয়া উচিত, এটা তো সেই প্রাণী যে তার প্রভুর নামে স্বীয় জীবন উৎসর্গ করছে, যে তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের গুনাহের প্রায়শ্চিত্ত করছে, আমাদের উচিত তার দয়া প্রতি সদয়