Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza
বান্দা সুন্নাতে ইব্রাহীমকে অনুসরণকারী) তখন আল্লাহ পাক বান্দাকে অসংখ্য সাহায্য করে এবং পরকালে তাকে অসংখ্য নেয়ামত দ্বারা ধন্য করবেন। (আল ফাতহুর রাব্বানি ওয়াল ফয়যুর রহমানী, ১৪ পৃষ্ঠা)
হে আশিকানে রাসূল! এটাই হলো কুরবানীর বাস্তব শিক্ষা যে, আমরা যেন আল্লাহ পাকের পূর্ণ আনুগত্য করি, কী ? কেন? কিভাবে? সেদিকে না তাকাই, বিবেকের ঘোড়া না দৌঁড়াই বরং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আদেশ এলে চোখ বন্ধ করে তা অনুসরণ করি। প্রবৃত্তির কামনা-বাসনা থেকে বিরত থাকি, নফসে আম্মারার অনিষ্ঠতা থেকে বেঁচে থাকি, নিজেকে সংশোধন করি, এমনকি একপর্যায়ে নফসে মুতমায়িন্না অর্জনে সফল হয়ে যাবো।
নফসের কু- প্রবৃত্তি পরিহার করুন!
পবিত্র হাদিসে রয়েছে: لَا یُؤْمِنُ اَحَدُکُمْ حَتّیٰ یَکُونَ ہَوَاہُ تَبِعًا لِمَا جِئْتُ بِہٖ অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত (পরিপূর্ণ) ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার কামনা বাসনা আমার আনিত দ্বীন অনুযায়ী হবে না।
(আস সুন্নাতু লি ইবনে আবি আছেম, ১২ পৃষ্ঠা, হাদীস:১৫)
ওলামায়ে কেরামগণ উক্ত হাদীসে পাকের ব্যাখ্যায় বলেন, একজন বান্দার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে এমনভাবে ভালোবাসা আবশ্যক যে, সেই ভালোবাসা যেন তাকে আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আনুগত্য করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং গুনাহের পথে অন্তরাল হয়ে দাঁড়ায়। (জামেউল উলুম ওয়াল হিকমাহ, ৩৯৭ পৃষ্ঠা)
আল্লাহ পাক আমাদের এমন তৌফিক দান করুন, আমরা পশু কুরবানী করবো, অবশ্যই করবো পাশাপাশি নফসে আম্মারারও কুরবানী দিবো, নফসের কু প্রবৃত্তিরও কুরবানী দিবো,