Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza
জর্জরিত হয়েছেন কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও তাঁর পা নড়চড় হয়নি, তিনি সর্বদা অবিচল ছিলেন। তাঁকে নেকীর দাওয়াত দেয়ার আদেশ হলো তখন তিনি একাই দ্বীনের বাণী প্রচারে ব্যস্ত হয়ে গেলেন, নমরূদ ছিলো সে সময়ের জালিম বাদশাহ, তার রাজ্যে থেকে, নির্ভয়ে একমাত্র মহান আল্লাহ পাকের উপর ভরসা করে তিনি সত্যের বাণী প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
নমরূদ! হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام কে আল্লাহর পানাহ! আগুনে ফেলার দুঃসাহস করলো, হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام এতেও সন্তুষ্ট রইলেন, আল্লাহ পাকের আনুগত্য করলেন, যখন তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ করা হচ্ছিলো, তখন হযরত জিব্রাইল আমীন عَلَیْہِ السَّلَام উপস্থিত হয়ে বললেন: হে ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام কোন প্রয়োজন হলে বলুন, তিনি বললেন: প্রয়োজন তো আছে, কিন্তু তোমার তোমার কাছে নয়, তিনি বললেন: তাহলে যার কাছে প্রয়োজন তাঁকেই বলুন! তিনি বললেন: তিনি দেখছেন, বলার প্রয়োজন নেই।
سُبْحٰنَ الله! এটি ছিল বিশ্বাস, এটি ছিলো খোদার প্রতি ভরসা, অতঃপর আল্লাহ পাক তাঁর বিশ্বাস এবং আনুগত্যের প্রতিদানও দান করলেন, আল্লাহ পাক সেই ভয়ানক আগুনকে হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام এর জন্য বাগানে রুপান্তরিত করে দিলেন যা মাইলের পর মাইল ছড়িয়ে ছিল। অতঃপর হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام কে হিজরত করার নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি নিজের বাড়ি, আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে সিরিয়া দেশে চলে যান হিজরত করার জন্য। হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام যখন বার্ধক্যে উপনীত হলেন, তখন তিনি দোয়া করলেন:
رَبِّ ہَبۡ لِیۡ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ (۱۰۰)
(পারা ২৩, সূরা সাফফাত, আয়াত ১০০)