Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza
জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে এ বিষয়টি প্রকাশ করে যে, আল্লাহ এক, আমাদের পুরস্কৃতকারীও একজন, সকল সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা একজনই এবং আমরা একমাত্র সেই একক খোদার ইবাদত করি, তিনি ব্যতীত আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই।
জানা গেলো, কুরবানী কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের পাশাপাশি একত্ববাদ আকীদারও বহিঃপ্রকাশ।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মনে একটি প্রশ্ন জাগে, তা হলো কুরবানী যদি নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ হয় তাহলে এই কৃতজ্ঞতা অন্যভাবেও জ্ঞাপন করা যেতে পারে যেমন, নামায, রোযা, দান-খয়রাত করেও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা যেতে পারে অবশেষে এই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য পশু কুরবানী করাটাই কেন আবশ্যক? উলামায়ে কেরামগণ এ প্রশ্নের অনেক উত্তর দিয়েছেন।
আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এ বিষয়ে অত্যন্ত ঈমান উদ্দীপক মাদানী ফুল বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, পশুরা অধিক হারে আল্লাহ পাকের জিকির করে, আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে বলেন:
وَ اِنۡ مِّنۡ شَیۡءٍ اِلَّا یُسَبِّحُ بِحَمۡدِہٖ
(পারা ১৫, বনী ইসরাঈল, আয়াত ৪৪)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর এমন কিছুই নেই যা তাঁর প্রশংসা করে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করে না।
প্রিয় নবী রাসূলে আরবী হুযুর পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বাণীর সারমর্ম হলো: কতো প্রাণী এমন আছে যারা মানুষের চেয়ে ভালো এবং তাদের চেয়েও বেশি আল্লাহ পাকের জিকির করে।
(জামে' সাগীর, ৬৪ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৯৫৩)