Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

    হে আশিকানে রাসূল! শিক্ষনীয় বিষয়, কুরবানীর দিন জবাইকৃত এই পশুর মাংস ধনী-গরীব সবাই খায়, উচিত হলো এই মাংস খেয়ে অর্জিত শক্তি দিয়ে * আমাদের মাঝে আল্লাহ পাকে জিকির করার  মানসিকতা সৃষ্টি করা * নেকীর প্রতি অন্তর ধাবিত করা * এর দ্বারা অর্জিত শক্তি নামায আদায়ের জন্য ব্যয় করা * কুরআন তিলাওয়াতে ব্যয় করা * এই শক্তি নেকীর দাওয়াত প্রচারে ব্যয় করা এবং এই শক্তি সৎ কাজে ব্যয় করা কিন্তু হায়! আমাদের সমাজে এমন অনেক লোক আছে যারা দামী দামী পশু কুরবানী করে, মাংস খায় কিন্তু শিক্ষা গ্রহণ করে না, কুরবানীর দিনেও নামায কাযা করে, সিনেমা, নাটক বিভিন্ন গুনাহে পূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঈদের দিন অতিবাহিত করে এবং ঈদের দিনটিকে নিজের জন্য শাস্তির হিসাবে বানিয়ে নেয়

    এই ধরনের নির্বোধ লোকদের ভয় করা উচিত, আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এমন নির্বোধ থেকে তো সেই প্রাণীয় উত্তম  যারা যতক্ষণ জীবিত থাকে আল্লাহ পাকে জিকির করে এবং পরিশেষে আল্লাহ পাকে নামেই উৎসর্গ হয়ে যায় (লতায়িফুল মা'আরীফ, ৩৯১ পৃষ্ঠা)

কুরবানী আনুগত্যের শিক্ষা দেয়

    হে আশিকানে রাসূল! কুরবানীর মূল শিক্ষা এটাই যে, মানুষ যেন আল্লাহ পাকে প্রকৃত বান্দা হয়ে যায়, আনুগত্য কারী হয়ে যায়, দেখুন! মহান আল্লাহ পাক বলেন, কুরবানী প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরয করা হয়েছিলো, তারপর বলেন কুরবানী একটি নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা, এবং এটি শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাকে জন্যই করতে হবে, অবশেষে মহান আল্লাহ পাক বলেন: :