Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

কুরবানী করার) চেয়ে অধিক ফযীলত পূর্ণ নয় (মাজমাউয-যাওয়াইদ / পৃষ্ঠা, হাদীস:৫৯৩৯)

    অপর হাদীসে পাকে রয়েছে, কুরবানীর দিন (অর্থাৎ ঈদুল আযহার দশম দিন) আল্লাহ পাকে নিকট একজন মানুষের সর্বাধিক পছন্দনীয় কাজ হল রক্তপাত করা অর্থাৎ কুরবানী করা নিশ্চয় কুরবানীর পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, তার চুল এবং তার খুরসহ নিয়ে উঠবে, নিশ্চয় কুরবানীর রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বেই আল্লাহ পাকে নিকট তার কুরবানী কবুল হয়ে যায় সুতরাং আনন্দচিত্তে কুরবানী করো

(তিরমিযী, কিতাবুল আযহা, ৩৮৩ পৃষ্ঠা হাদীস: ১৪৯৩)

 

কুরবানীর পরিবর্তে মাংস সদকা করা যথেষ্ট নয়:

    হাকীমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উল্লেখিত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, থেকে জানা গেলো, কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য রক্তপাত করা, মাংস খাওয়া হোক বা না হোক, অতএব কেউ যদি কুরবানীর মূল্য পরিশোধ করে দেয় বা ততোধিক দুই বা তিনগুণ মাংস সদকা করে দেয় তাহলে কুরবানী কখনও আদায় হবে না, আর কেন হবে না কারণ কুরবানী হলো হযরত খলিলুল্লাহ এর অনুসরণ এবং হযরত ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ عَلَیْہِ السَّلَام স্বয়ং নিজে রক্তপাত করেছেন, মাংস অথবা অর্থ সদকা করেননি আর অনুসরণ তখনই সঠিক বলে বিবেচিত হবে যখন মূল অনুযায়ী করা হবে

    মুফতি সাহেব رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আরও বলেন: অন্যান্য আমলগুলো সম্পাদন করার পর কবুল হয় কিন্তু কুরবানী করার পূর্বেই কবুল হয়ে যায়, অতএব কুরবানী করাকে অনর্থক ভেবে কিংবা সংকীর্ণ হৃদয়ে করো না সবখানে যৌক্তিক ঘোড়া দৌঁড়াবে না! (মিরাতুল-মানাজিহ, /৩৭৫ পৃষ্ঠা)