Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza
ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام এর সুন্নাত পালন করি, ঠিক সেভাবে নিজেকে আল্লাহ পাকের নিকট আত্মসমর্পণ করে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ পাকের আনুগত্য মূলক কাজের মধ্যে লাগানোর চেষ্টাও করা উচিত।
হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام এর সঙ্গে সম্পর্ক কবে সঠিক হবে?
গাউসে আযম শেখ আব্দুল কাদির জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: মুমিন বান্দা 'কেন'? কিভাবে? জানে না (অর্থাৎ মুমিন বান্দা এটা দেখে না যে, কেন আদেশ দেয়া হলো, কিভাবে দেয়া হলো বরং একজন মুসলমান শুধু দেখেন, কে হুকুম দিয়েছে? আল্লাহ পাক আদেশ দিয়ে থাকলে, তাঁর প্রিয় নবী রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হুকুম দিলে তখন বান্দা সেটা পালন করে, এতে কোন আপত্তি করে না, বরং মাথা শরীর থেকে পৃথক করার চ্যালেঞ্জ দেয়া হোক না কেন সে আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ অনুসরণ করে)।
গাউছে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আরো বলেন, নফসে আম্মারাহ মন্দের উৎস, যদি মানুষ সাধনা করে (অর্থাৎ নিজেকে কষ্টের মধ্যে ফেলে, প্রতিটি পরিস্থিতিতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ পালন করে তাহলে ধীরে ধীরে) নফসে আম্মারাহ নফসে মুতমায়িন্নাতে রূপান্তর হয়ে যায়, যখন নফসে আম্মারাহ নফসে মুতমায়িন্নাতে রূপান্তর হয় তখন এমন হয় যে, মানুষ আনুগত্য করে, গুনাহ পরিহার করে, এই স্তরে পৌঁছে মানুষের আত্মা ভালো হয়ে যায়, তখন মানুষ দৈহিক কামনা-বাসনা পরিহার করে এবং মহান আল্লাহ পাকের উপর পূর্ণ আস্থা রাখে। আর এটিই হলো সেই স্তর যখন হযরত ইব্রাহীমের সাথে একজন ব্যক্তির বন্ধন সঠিক হয় (অর্থাৎ এই স্তরে পৌঁছলে বলা যায় যে, এই