Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে আমার রব! আমাকে নেক সন্তান দান করুন

    এই বয়সে আল্লাহ পাক তাঁকে হযরত ইসমাইল رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর রূপে একটি নেককার পুত্র সন্তান দান করেন এখনো হযরত ইসমাইল رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর দুধ পান করার বয়স ছিলো তখন আদেশ দেয়া হলো: হে ইব্রাহীম! আপনার ছেলেকে তার মায়ের কাছে মক্কায় রেখে আসুন

    اَللهُ اَكْبَرُ বৃদ্ধ বয়সে পুত্র সন্তান দান করা হলো, এখনো দুধ পান করার বয়স তখন সন্তানকে কার কাছ থেকে পৃথক করার আদেশ দেয়া হলো উৎসর্গ হোন! এটি হলো আনুগত্যের প্রেরণা, এটি হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام এর  আপন প্রভুর প্রতি পূর্ণঙ্গ ভালোবাসা যে, এই আদেশ শুনেও তাঁর কপাল সংকোচিত হলো না, জিহ্বায় কোনো অভিযোগ মূলক বাক্য আসা তো দূরের কথা অন্তরেও এর কোন ধারণা জন্মায়নি হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام তাঁর প্রভুর আদেশের উপর আপন শির নত করে দিলেন করে এবং তাঁর দুধ পানকারী ছোট্ট শাহযাদা এবং তার মাতাকে মক্কার নির্জন উপত্যকায় একাকী রেখে পূনরায় চলে আসেন

    আল্লাহ আল্লাহ!.... প্রেমের পরীক্ষা এখনো আরো বাকি আছে!

    হযরত ইসমাইল عَلَیْہِ السَّلَام এর বয়স যখন প্রায় ১৩ বছর, তখন হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام স্বপ্নে দেখলেন তিনি তাঁর ছেলেকে জবাই করছেন, নবীগণের স্বপ্ন অহী হয়ে থাকে, তাই হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত নির্দেশ পালন করতে মক্কায় পৌঁছেন, হযরত ইসমাইল عَلَیْہِ السَّلَام কে স্বপ্নের বর্ণনা দেন বাধ্যগত পুত্র বললেন:

 

قَالَ یٰۤاَبَتِ افۡعَلۡ مَا تُؤۡمَرُ ۫   سَتَجِدُنِیۡۤ  اِنۡ شَآءَ اللّٰہُ مِنَ الصّٰبِرِیۡنَ (۱۰۲)

(পারা ২৩, সূরা সাফফাত, আয়াত ১০০)