Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: বললো, হে আমার পিতা! করুন যা আপনি আদিষ্ট হচ্ছেন, আল্লাহ ইচ্ছা করলে অবিলম্বে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন

 

    سُبْحٰنَ الله! পুত্র হলে এমন হোক, আনুগত্য হলে এমন হোক...!!

    اَللهُ اَكْبَرُ অতঃপর হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام তাঁর শাহযাদাকে সঙ্গে নিয়ে মিনায় আসেন, ছেলেকে শয়ন করিয়ে দিলেন, তাঁর গলায় ছুরি রাখলেন, বর্ণনায় রয়েছে: ছুরিটি ছিল খুবই ধারালো কিন্তু যখনই তা হযরত ইসমাইল عَلَیْہِ السَّلَام এর গলায় চালানো হতো তখন তা কাজ করতো না

    মহান আল্লাহ পাকে নির্দেশ পালনে অনিচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব হচ্ছিলহযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام এর বাধ্যগত হৃদয় এই বিলম্ব মেনে নিতে পারছিল না, তিনি ছুরি ধারালো করলেন, তারপর পূনরায় চালালেন, কিন্তু কোন কাজ হলোনা, অতঃপর আবার ধারালো করলেন এবং ছুরি চালালেন কিন্তু চলল না, তিনবার এরকমই হলো হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام আনুগত্যের চেতনা নিয়ে বারংবার ছুরি ব্যবহার করার চেষ্টা করছিলেন, এমন সময় হযরত জিব্রাইল আমিন عَلَیْہِ السَّلَام জান্নাতি দুম্বা নিয়ে উপস্থিত হলেন এবং হযরত ইব্রাহীম ইসমাইল عَلَیْہِ السَّلَام কে কুরবানী কবুল হওয়ার সুসংবাদ দেন

    হে আশিকানে রাসূল! এটাই হলো আনুগত্যের চেতনা, ত্যাগের চেতনা, বাধ্যতার চেতনা, যেমন পশু জবাই করা ইব্রাহীমি সুন্নাত, তেমনি এই আনুগত্য ও বাধ্যতার চেতনা, নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ পাকের কাছে আত্মসমর্পণ করাও হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام বরকতময় রীতি। নিঃসন্দেহে হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام আল্লাহ পাকের নবী, আমরা তাঁর সমকক্ষ হতে পারবো না, কিন্তু আমরা যেভাবে পশু কুরবানীর মাধ্যমে হযরত