Book Name:Masjid Ke Adaab
(২) এই পবিত্র ঘটনা থেকে এটাও জানা গেলো, আল্লাহ পাক আমাদের প্রিয় নবী, মদীনে ওয়ালে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে এই ক্ষমতা দিয়েছেন যে, তিনি যখন চান, যে মৃতের সাথে ইচ্ছা কথা বলতে পারেন। এমনকি এটাও জানা গেলো, মৃত ও সৃষ্টিকুলের কথা শুনে এবং বুঝার যোগ্যতাও রাখে। অতঃপর মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: জীবদ্দশায় লোকদের শুনার যোগ্যতাটা বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। কেউ কাছ থেকে শুনে, উদাহরণস্বরূপ- সাধারণ লোক। আর কেউ দূর থেকে শুনে থাকে, উদাহরণস্বরূপ- নবী ও আউলিয়া। মৃত্যুর পর এই শক্তিটা বেড়ে যায়, কমে না। এজন্য সাধারণ মৃতের কবরের পাশে গিয়ে ডাকা হয়, দূর থেকে নয়। কিন্তু আম্বীয়ায়ে কিরাম عَلَیْهِمُ السَّلَام, আউলিয়াগণকে رَحِمَہُمُ الله দূর থেকে ডাকা যায়। কেননা, তারা যখন জীবিত অবস্থায় দূর থেকে শুনতেন, তখন ওফাতের পরেও শুনেন।
(ইলমুল কুরআন, ২০৮ পৃষ্ঠা)
(৩) প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিকটতম অভিভাবক অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির সবচেয়ে বেশি নিকটাত্মীয়, যদি জানাযার নামায পড়তে না পারে, তবে সে তার জানাযার নামায কবরের পাশে আদায় করার অধিকার রয়েছে। যেমনি ভাবে বাহারে শরীয়াত ১ম খন্ড ৮৩৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে: অভিভাবক ছাড়া এমন কেউ জানাযার নামায পড়িয়ে দিলো, যে অভিভাবকের চেয়ে বেশি উত্তম নয়, আর যদি অভিভাবক তাকে অনুমতি না দেন এবং