Book Name:Nematon ka Shukar Ada Karnay ka Tariqa
আসুন! এই বিষয় সম্পর্কিত প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর চারটি বাণী শ্রবণ করি এবং আমলের উৎসাহ সৃষ্টি করি।
(১) দুটি অভ্যাস এমন রয়েছে, তা যার মধ্যে থাকবে আল্লাহ পাক তাকে ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ বলে লিখে দিবেন এবং তা যার মধ্যে থাকবে না তাকে না কৃতজ্ঞ বলা হবে, না ধৈর্যশীল (এই অভ্যাস দুটি হলো) * যে নিজের দ্বীনে (ধর্মে) নিজের চেয়ে উচ্চ কাউকে দেখে তার অনুসরন করে এবং দুনিয়াবী বিষয়ে নিজের চেয়ে নিম্নদের দেখে এবং আল্লাহ পাক তাকে ঐ ব্যক্তির উপর যে ফযীলত দান করেছেন সেজন্য আল্লাহ পাকের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তবে আল্লাহ পাক তাকে ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ বলে লিখে দেন। * যে নিজের দ্বীনে (ধর্মে) নিজের চেয়ে নিম্নদের দেখে এবং দুনিয়াবী বিষয়ে নিজের চেয়ে উচ্চদের দেখে অতঃপর নিজে বঞ্চিত হওয়ার কারণে আফসোস করে, তবে আল্লাহ পাক তাকে না ধৈর্যশীল বলে লিখেন না কৃতজ্ঞ। (জামে তিরমীযি, ৪/২২৯, হাদীস ২৫২০)
(২) আল্লাহ পাক যখন কোন সম্প্রদায়ের মঙ্গল কামনা করেন তখন তাদের হায়াত (স্থায়ীত্ব) বাড়িয়ে দেন এবং তাদের কৃতজ্ঞতার ইলহাম প্রেরণ করেন। (ফিরদাউসুল আখবার, বাবুল আলিফ, ১/১৪৮, হাদীস ৯৫৪)
(৩) যাকে আল্লাহ পাক কোন নেয়ামত দান
করেন অতঃপর সেই
বান্দা এই নেয়ামতকে স্থায়ী
করতে চায়,
তবে তার উচিৎ
অধিকহারে
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّۃَ اِلَّا بِاللهِ পাঠ
করতে থাকা। (মুজামুল কবীর, ১৭/৩১০, হাদীস ৮৫৯)