Book Name:Nematon ka Shukar Ada Karnay ka Tariqa
আপতিত হয়ে যেতো। যদি আমরা এরূপ মানসিকতা তৈরী করি তবে اِنْ شَآءَ الله অকৃতজ্ঞ হওয়া থেকে বেঁচে থাকবো।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! সাধারণত মানুষের স্বভাবে (Nature) এই বিষয়টি থাকে যে, তারা আনন্দের সময় নেয়ামতের স্মরন করে এবং আল্লাহ পাকের কৃতজ্ঞতাও জ্ঞাপন করে কিন্তু যখনই সামান্য বিপদ-আপদ, পেরেশানী এবং কষ্টে পতিত হয় তখন আল্লাহ পাকের নেয়ামত সমূহ এবং তাঁর দয়া ও অনুগ্রহের কথা একেবারেই ভুলে গিয়ে অকৃতজ্ঞতার বাক্য নিজের মুখ থেকে নির্গত হতে থাকে। যেমনটি হযরত হাসান বিন আবু হাসান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই আয়াতে মুবারাকা:
اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لِرَبِّہٖ لَکَنُوۡدٌ ۚ(۶(
(পারা ৩০, সূরা আদিয়াত, আয়াত ৬)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় মানুষ স্বীয় রবের প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ।
সম্পর্কে বলেন: মানুষ খুবই অকৃতজ্ঞ, অর্থাৎ বিপদ-আপদ গণনা করে আর নেয়ামত সমূহ ভুলে যায়। (শোকর কে ফাযায়িলত মাকতাবাতুল মদীনা থেকে প্রকাশিত) অথচ আমাদের পূর্ববর্তীদের এই অবস্থা ছিলো যে, রোগ হোক বা অভাব, সহজ হোক বা কঠিন, আনন্দ হোক বা শোক সর্বাবস্থায় আল্লাহ পাকের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতেন।
কৃতজ্ঞ বান্দা
দা’ওয়াতে ইসলামীর মাকতাবাতুল মদীনার প্রকাশিত ৩০৩ পৃষ্ঠা সম্বলিত “আঁসোঁউ কা দরিয়া” কিতাবের ২১১ পৃষ্ঠায় রয়েছে: