Book Name:Nematon ka Shukar Ada Karnay ka Tariqa
এতে যেমন সুস্থতা এবং সুসাস্থ্যকে নেয়ামত ঘোষণা করা হয়েছে তেমনি অসুস্থতা ও কষ্টকেও নেয়ামত বলে গন্য করা হয়, কেননা অসুস্থতা যেমন গুনাহের কাফফারার মাধ্যম তেমনি অনেক ছোট অসুস্থতা মারাত্মক রোগ থেকে নিরাপত্তার উপায়ও হয়ে থাকে।
ফকীহে মিল্লাত মুফতী জালালুদ্দীন আমজাদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: রোগের কারণে যদিও কষ্ট অনুভূত হয় কিন্তু বাস্তবে তা অনেক বড় নেয়ামত, যার কারণে মুমিনের চির-প্রশান্তি ও সহজতার অনেক বড় ভান্ডার অর্জিত হয়। এই প্রকাশ্য অসুস্থতা বাস্তবে রূহানী রোগের মহান চিকিৎসা স্বরূপ, শর্ত হলো বান্দাকে মুমিন হতে হবে আর বড় থেকে বড় অসুস্থতায় ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনকারী হতে হবে। যদি ধৈর্যধারন না করে কান্না-কাটি শুরু করে দেয়, তবে অসুস্থতা থেকে কোন আক্ষরিক উপকৃত হবে না অর্থাৎ সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে। অনেক বোকা অসুস্থতায় অযথা বকবক করতে থাকে আর অনেকে আল্লাহ পাকের দিকে অত্যাচারের ইঙ্গিত করে কুফরিতেও পৌঁছে যায়, এটা তার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য ধ্বংসের কারণ। وَالْعِیَاذُ بِاللهِ
(আনওয়ারুল হাদীস, ১৯৭)
মনে রাখবেন! হাদীস শরীফে অসুস্থতার যে ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে, আমাদের তা এভাবে অর্জিত হবে যে, যদি আমরা মুখে অভিযোগ প্রকাশ করার পরিবর্তে ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
হযরত আতা বিন ইয়াসার رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, যখন কোন বান্দা অসুস্থ হয় তখন আল্লাহ পাক তার নিকট দু’জন ফিরিশতা