Book Name:Nematon ka Shukar Ada Karnay ka Tariqa
মদীনাতুদ দামেশক লি ইবনে আসাকির, যিয়াদ বিন উবাইদ, ১৯/১৯১) কিন্তু আফসোস! শত কোটি আফসোস!! আমাদের মধ্যে অধিকাংশই খুশির এই সময়েও আল্লাহ পাকের অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ে, অশ্লিলতার ছড়াছড়ি করে এবং মানুষের হক নষ্ট করে, তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের গুনাহ করে নিজ প্রতিপালকের অসন্তুষ্টির কারণ সৃষ্টি করে। অনেক মূর্খ ব্যক্তি খুশির এই সময়ে مَعَاذَ الله গান-বাজনার অনুষ্ঠানও করে থাকে এবং লজ্জার চাদর সরিয়ে সারারাত ছেলেরা ও বেপর্দা মেয়েরা নাচ গান করে, এই ধরনের মিশ্র পরিবেশে লোক কুদৃষ্টির কারণে নিজের চোখকে হারাম দ্বারা পূর্ণ করে এবং তাদের এই বিষয়ের বিন্দুমাত্র অনুভূতি হয় না যে, অপরিচিত মহিলাদের দেখা মানুয়ের নয় শয়তানেরই কাজ। যেমনটি প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اَلْمَرْاَةُ عَوْرَةٌ فَاِذَا خَرَجَتْ اِسْتَشْرِفَهَا الشَّيْطَانُ অর্থাৎ মহিলা হলো লুকানোর বস্তু, যখন সে বের হয় তখন শয়তান তাকে উঁকি মেরে দেখে। (তিরমীযি, অধ্যায়: ১৮, ২/৩৯২, হাদীস ১১৭৬) হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম মুহাম্মদ গাযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যে ব্যক্তি নিজের চোখকে সংযত রাখতে পারে না, সে নিজের লজ্জাস্থানেরও নিরাপত্তা দিতে পারে না। (ইহইয়াউ উলুমুদ্দীন, ৩/১২৫)
মনে রাখবেন! যে জাতি বিলাসীতা ও আনন্দ-স্ফুর্তিতে পড়ে আল্লাহ পাকের অবাধ্যতা করে, সে জাতি ধ্বংসের অতল গহ্বরে পতিত হতে থাকে। যেমন; দা’ওয়াতে ইসলামীর মাকতাবাতুল মদীনার প্রকাশিত তাফসীর “সীরাতুল জিনান” ৪র্থ খন্ডের ২৭ নং পৃষ্ঠায় কিছুটা এরূপ বর্ণিত রয়েছে: