Book Name:Khawaja Gharib Nawaz رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْه
করতেন, তাঁদের এই পদ্ধতি থেকে আমরাও এই শিক্ষা পাই যে, আমরাও যেন আমাদের পীর ও মুর্শিদের খেদমত করি, তাঁদের সন্তুষ্ট রাখি, আমাদের কোনো কাজ দ্বারা যেন তাঁদের কষ্ট না দিই। মনে রাখবেন! মুর্শিদে কামিলের দরবারে জীবন কাটানো সত্ত্বেও কিছু লোক ফয়েয অর্জন করতে বঞ্চিত থাকে, কেন? চিন্তা করলে জানা যাবে যে, এই লোকেরা মুর্শিদ কামিলের কাজ ও কথাকে বুদ্ধির পাল্লায় ওজন করে, যখন কোনো কথা বুঝতে পারে না তখন মুর্শিদের উপর নানা ধরনের আপত্তি করতে থাকে।
মনে রাখবেন! কামিল পীর ও মুর্শিদের প্রতি আপত্তির কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মনের ময়লা হয়ে থাকে, তবে কখনও কখনও কিছু বাহ্যিক কারণও এর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু মুরিদ দীর্ঘকাল মুর্শিদের খেদমতে কাটান এবং যখন কোনো স্তরে পৌঁছতে পারে না, তখন বলতে শোনা যায় যে, তারা মুর্শিদের খেদমতের হক আদায় করে দিয়েছে, ফয়েয দেওয়া বা না দেওয়া মুর্শিদের ইচ্ছা। এই অজ্ঞ লোকেরা জানে না যে, মুর্শিদের হক আদায় করা তাদের সাধ্যের বিষয় নয়, বরং এমন কুমন্ত্রণার শিকার হওয়া তাদের জন্য পীরের ফয়েয থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ।
পীরের হক কি আদায় করা যায়?
হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে জিজ্ঞাসা করা হলো: পীরের মুরিদের উপর কতটা হক রয়েছে? তখন তিনি বললেন: যদি কোনো মুরিদ সারা জীবন হজের পথে পীরকে মাথায় করে নিয়ে যায়, তবুও পীরের হক আদায় হবে না।
(হাশত বেহেশত, পৃষ্ঠা-৩৯৭)