Khawaja Gharib Nawaz رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْه

Book Name:Khawaja Gharib Nawaz رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْه

সিরিয়া, বাগদাদ এবং কিরমান সহ বহু দেশ শহর ভ্রমণ করেছেন তিনি বহু বুযুর্গানে দ্বীন থেকে ফয়েয অর্জন করেছেন, যার মধ্যে তাঁর পীর মুর্শিদ হযরত খাজা উসমান হারুনী এবং পীরানে পীর হুযুর গাউসে পাক হযরত শায়খ সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী  رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِمَا অন্তর্ভুক্ত  তাঁকে হারামাঈন শরীফের যিয়ারতের সময় প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবার থেকে হিন্দের বেলায়েত দান করা হয়

 (সায়রুল আকতাব, পৃষ্ঠা-১৪২)

 

পীর মুর্শিদের অন্বেষণ এবং খেদমত

    ১৫ বছর বয়সে তিনি জ্ঞান অর্জনের জন্য সফর শুরু করেন এবং সমরকন্দে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বীনি ইলম অধ্যয়ন শুরু করেন। প্রথমে কুরআন পাক মুখস্ত করেন এবং অন্যান্য জ্ঞান অর্জন করেন, কিন্তু দ্বীনি ইলম শেখার সাথে সাথে জ্ঞানের তৃষ্ণা বাড়তে থাকে। মোট প্রায় পাঁচ বছর সমরকন্দ ও বুখারায় জ্ঞান অর্জনের জন্য অবস্থান করেন। (ফয়েযানে খাজা গরীবে নেওয়াজ, পৃষ্ঠা-৬) এই সময়ে বাহ্যিক জ্ঞান তো পূর্ণ হয়েছিল, কিন্তু যে তাড়না নিয়ে ঘরবাড়ি ত্যাগ করেছিলেন, তার তৃপ্তি তখনও অবশিষ্ট ছিল। তাই তিনি এমন একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সন্ধানে বের হলেন যিনি হৃদয়ের ব্যাধির চিকিৎসা করতে পারেন। মুর্শিদে কামিলের সন্ধানে বুখারা থেকে হেজাজের দিকে রওনা হলেন। পথে নিসাপুরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল "হারউন" দিয়ে অতিক্রম করার সময় মরদে কলন্দর কুতুবুল ওয়াক্ত হযরত উসমান হারুনী চিশতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর খ্যাতি শুনলেন। সাথে সাথে তাঁর খেদমতে হাজির হলেন এবং তাঁর হাতে বাইয়াত হয়ে চিশতিয়া তরীকায় প্রবেশ করলেন। (মিরআতুল আসরার, পৃষ্ঠা-৫৯৪) তিনি প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত মুর্শিদ কামিলের খেদমতে হাজির ছিলেন এবং মারিফাতের স্তরগুলো অতিক্রম করে বাতেনী জ্ঞান অর্জন করতে থাকলেন। তাঁর পীর ও মুর্শিদ