Book Name:Shoq e Madina
سُبْحٰنَ الله! হে আশিকানে রাসূল! একটু চিন্তা করুন! একটি হজ্ব করতে কতো পরিশ্রম করতে হয়, লক্ষ টাকা খরচ হবে, সফরের কষ্ট বহন করতে হবে, কাবা তওয়াফ করতে হবে, সাফা মরওয়া সায়ী করতে হবে, মিনাতে কুরবানী দিতে হবে, মুযদালিফায় অবস্থান করতে হবে, আরফাতের ময়দানে অবস্থান করতে হবে, এতো কষ্ট আর লক্ষ টাকা খরচ করলো, এতদসত্ত্বেও হজ্ব কবুল হলো কি হলো না? কেউ জানে না কিন্তু এই ফযীলত দেখুন! যে ব্যক্তি হজ্ব করলো, হজ্ব করার পর মদীনা মনোওয়ারাতে পৌঁছলো তখন তার একটি নয় বরং দু’টি হজের সাওয়াব অর্জন হবে আর ঐ হজ্ব যেটা সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই বরং দু’টি কবুল হজ্বের সাওয়াব তাকে দেয়া হবে।
ঈমান মদীনার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে
বুখারী শরীফের হাদীসে রয়েছে, হযরত আবু হুরাইরা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বর্ণনা করেন: اِنَّ الْاِيمَانَ لَيَاْرِزُ اِلَى الْمَدِينَةِ كَمَا تَاْرِزُ الْحَيَّةُاِلَى جُحْرِهَا ঈমান মদীনার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে যেমন সাপ নিজের গন্তব্য (গর্তের) দিকে প্রত্যাবর্তন করে। (বুখারী, ৪৯৮, হাদীস: ১৮৭৬) এটা অনেক বড় ঈমান উদ্দীপক হাদীসে পাক, ওলামাগণ এর বিভিন্ন অর্থ বর্ণনা করেছেন, একটি অর্থ হলো যখন কিয়ামত নিকতম হবে দাজ্জাল বের হবে সারা পৃথিবীতে ঈমান রক্ষা করার কোন আশ্রয় স্থল পাবে না, সেই সময় ঈমান মদীনা মুনাওয়ারাতে প্রত্যাবর্তন করবে, মদীনা ব্যতিত ঈমানদার ব্যক্তি কোথাও থাকবে না।
মুহাদ্দীসগণ এর আরেকটি অর্থ বর্ণনা করেন: একটু দেখুন! নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মদীনাতে ঈমান প্রত্যাবর্তন করাকে সাপের সাথে উদাহরণ দিলেন, অর্থাৎ ইরশাদ করেন: যেমন সাপ নিজ গন্তব্য (অর্থাৎ গর্তে) চলে যায়, অনরূপই ঈমান মদীনাতে চলে যাবে, একটু চিন্তা করুন! সাপ নিজ গন্তব্যে থেকে বের হয়,