Book Name:Shoq e Madina
কিয়ামতের দিন নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতিবেশী হবে
এক বর্ণনায় রয়েছে: كَانَ فِي جِوَارِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ অর্থাৎ যে ব্যক্তি বিশেষ করে আমার যিয়ারতের জন্য মদীনা মনোওয়ারাতে পৌঁছলো সেই কিয়ামতের দিন আমার দয়ার প্রতিবেশি হিসেবে থাকবে।
(মুজামুল আউসাত, ৩/ ২৬৬ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৪৫৪৬)
এই হাদীসে পাকের ব্যাখ্যায় ওলামাগণ বলেন: এই হাদীসের উপর পরিপূর্ণ আমল তখনই হবে যে, বান্দা মসজিদে নববীরও নিয়্যত করা উচিত না বরং বান্দার উচিত যখন মদীনা মনোওয়ারার দিকে সফর আরম্ভ করে তখন শুধুমাত্র নূরানী রাওযা যিয়ারতের নিয়্যত করবে, মসজিদে নববী শরীফে নামায পড়ার সৌভাগ্য তো সাধারণত পাওয়া যাবে, মসজিদে কুবাতে নামায আদায় করে ওমরার সাওয়াব নেয়ার সৌভাগ্য তো সাধারণত হয়ে যাবে কিন্তু এর নিয়্যত কেবল একটাই থাকতে হবে যে আমি মদীনা মনোওয়ারার যিয়ারতের জন্য উপস্থিত হয়েছি। سُبْحٰنَ الله!
আখিরাতের হিসাব থেকে মুক্তি
হে আশিকানে রাসূল! আসুন! মদীনা মনোওয়ারায় হাজির হয়ে নূরানী রাওযার যিয়ারত করার আরো একটি চমৎকার ফযীলত শ্রবণ করি: হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত: আল্লাহ পাকের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: مَنْ حَجَّ حَجَّةَ الاِسْلامِ وَزَارَ قَبْرِي وَغَزَا غَزْوَةً وَصَلَّى عَلَيَّ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ যে ব্যক্তি হজ্ব করলো ও আমার কবর যিয়ারত করলো এবং সেই জিহাদে অংশ গ্রহণ ও বায়তুল মুকাদ্দাসে অবস্থান করে আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করে لَمْ يَسْاَلْهُ اللَّهُ عَمَّا افْتَرَضَ عَلَيْهِ তাকে কিয়ামতের দিন ফরয সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না।
(লিসানুল মিযান, ২/২৬৫ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৪০৫)