Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza
(আনোওয়ারে কুতুবে মদীনা ৩৩৭ পৃষ্ঠা সারসংক্ষেপ) শেষ বয়সে তার দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেয়ে যায়, ডাক্তার চিকিৎসার জন্য জেদ্দা যেতে জোর করতে লাগলে তিনি বললেন এই অধম দৃষ্টিশক্তির জন্য মদীনা মুনাওয়ারা ছাড়তে পারে না। (সায়্যিদি যিয়াউদ্দিন আহমদ কাদেরী, ১/৫২৩ পৃষ্ঠা)
হযরত সায়্যিদী কুতুবে মদীনা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি যখন মদীনা শরীফে গিয়ে পৌঁছলাম প্রথম প্রথম আমার এমন সময়ও গেছে যে, আমি সাত দিনের উপবাস ছিলাম। সপ্তম দিনে আমি যখন ক্ষুধায় একে বারেই কাতর হয়ে পড়ি, তখন এক অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন বুযুুর্গ ব্যক্তি আগমন করলেন, তিনি আমাকে তিনটি পাত্র দান করলেন, একটিতে মধু, দ্বিতীয়টিতে আটা আর তৃতীয় পাত্রে ঘি ছিল। পাত্রগুলো দিয়ে তিনি এটা বলে চলে গেলেন যে, আমি বাজারে গিয়ে আরো কিছু নিয়ে আসি। কিছুক্ষণ পর চায়ের প্যাকেট ও চিনি ইত্যাদি নিয়ে এসে আমাকে দিয়েই তৎক্ষণাৎ চলে গেলেন। তার পরিচয় বিস্তারিত জানার জন্য আমিও তৎক্ষণাৎ তাঁর পিছু নিলাম কিন্তু ততক্ষণে তিনি অদৃশ্য হয়ে যান। হযরত সায়্যিদী কুতুবে মদীনা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কাছে জিজ্ঞেসা করা হলো: আপনার ধারণা মতে সেই ব্যক্তিটি কে হতে পারেন? তিনি বললেন: আমার ধারণায় তিনি হলেন, মদীনার সুলতান, সরদারে দুজাহান, মাহবুবে রহমানصَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর চাচাজান সায়্যিদুশ শুহাদা হযরত সায়্যিদুনা হামযা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কেননা মদীনা শরীফের বেলায়ত তাঁর নিকটই সোপর্দ করা হয়েছে। (সায়্যিদী কুতুবে মদীনা, ৮ পৃষ্ঠা)
হে আশিকানে রাসূল! হযরত সায়্যিদুনা কুতুবে মদীনা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হযরত সায়্যিদুনা হামযা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে অগাধ ভালোবাসতেন এবং প্রতি বৎসর পবিত্র রমযান মাসের ১৭ তারিখে তিনি হযরত সায়্যিদুনা হামযা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর পবিত্র ওরস পালন করতেন। আর