Book Name:Shan e Ameer Hamza
মাকে সাথে নিয়ে মিশরীয় হাজীর তাঁবুতে পৌঁছে গেলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই বুযুর্গ সেখানেই ছিলেন তখন নামাজের সময় ছিল। শেখ আহমদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সেই বুযুুর্গকে সাথে নিয়ে মসজিদে নববী শরীফে উপস্থিত হন। সেই বুযুর্গ বললেন, আহমদ! আপনি নামাজ আদায় করে নিন! শেখ আহমদ মসজিদে পৌঁছে নামাজ আদায় করলেন, এবং সেই বুযুর্গ আসার জন্য অপেক্ষা করতে রইলেন, কিন্তু তিনি আসেননি। শেখ আহমদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি তাঁকে অনেক খুঁজলাম, কিন্তু কোথাও পেলাম না। অবশেষে শেখ সফিউদ্দীন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর নিকট উপস্থিত হয়ে সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বললাম। শেখ সফিউদ্দীন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সেই বুযুর্গের অবয়ব সম্পর্কে শুনে বললেন, “সেই নেক বুযুর্গ আর কেউ নন, তিনি হলেন রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর চাচা হযরত আমীর হামযা رَضِیَ اللهُ عَنْہ যিনি আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য এসেছিলেন।”
(জামে কারামাতে আউলিয়া, ১/ ১০৮)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসূল! আপনারা শুনলেন তো! হযরত আমীর হামযা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তাঁর ইন্তেকালের কয়েক শতাব্দী পরও কীভাবে একজন পেরেশান গ্রস্থ ব্যক্তিকে সাহায্য করেছেন। سُبْحٰنَ الله!! হতে পারে শয়তান মনের মধ্যে কুমন্ত্রণা দিবে যে, একজন মানুষ দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পর কীভাবে কারো সাহায্যের জন্য আসতে পারে? এ প্রসঙ্গে আরজ হলো যে, পবিত্র কুরআনের বহু আয়াত ও বহু হাদিসের আলোকে এটা প্রমাণিত হয় যে, নবীগণ عَلَیْهِمُ السَّلَام ও আউলিয়াগণ আল্লাহর দানক্রমে নিজ নিজ মাযারে জীবিত আছেন, তাঁরা তাদের গোলামদের আর্তনাদ শোনেন এবং সাহায্য ও করেন। আর হযরত আমীর হামযা رَضِیَ اللهُ