Book Name:Shan e Ameer Hamza
(তাফসীরে সিরাতুল জিনান, আয়াত ১৭০, ২/৯২)
আল্লাহ পাকের শেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন, উহুদ যুদ্ধে যখন তোমাদের ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, তখন আল্লাহ পাক তাদের আত্মাকে সবুজ পাখির মধ্যে রেখে দেন, তারা জান্নাতের নদীতে যায়, তারা জান্নাতের বাগান থেকে ফল খায়। আরশের ছায়ায় সোনার প্রদীপে বিশ্রাম নেয়। যখন তারা এই নেয়ামত গুলো দেখল তখন তারা বলল: হায়! যদি আমাদের ভাইয়েরা জানতো যে, আল্লাহ পাক আমাদের জন্য কি কি নেয়ামত প্রস্তুত রেখেছেন, এতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন: তোমাদের পক্ষ থেকে আমি তোমাদের ভাইদেরকে এই সুসংবাদ পৌঁছে দিচ্ছি, তখন আল্লাহ পাক এই আয়াতটি নাযিল করেন:
وَ لَا تَحۡسَبَنَّ الَّذِیۡنَ قُتِلُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ اَمۡوَاتًا ؕ بَلۡ اَحۡیَآءٌ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ یُرۡزَقُوۡنَ (۱۶۹)ۙ
(পারা: ৪, সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৬৯)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে কখনো তাদেরকে মৃত বলে ধারণা করো না, বরং তারা আপন প্রতিপালকের নিকট জীবিত রয়েছে, জীবিকা পায়।
(মুসনদে আহমদ, ২/১৬৫ পৃষ্ঠা, হাদীস ২৪৩০)
হে আশিকানে রাসূল, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর চাচাজান হযরত আমীর হামযা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করেছেন, শাহাদাত অনেক উচ্চ মর্যাদা, আল্লাহ পাক আমাদেরকেও হযরত আমীর হামযা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর উসিলায় মদীনা শরীফে সবুজ গম্বুজের ছায়াতলে সোনালী জালির সামনে শাহাদাতের মৃত্যু নসীব করুন।
اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
দে শাহাদাত মুঝে মদীনে মে, আজ পায়ে শাহে কারবালা ইয়া রব!