Book Name:Shan e Ameer Hamza
দেখলাম, সে সময় আমি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম: اَللّٰہُمَّ اَسْاَلُکَ الْعَفْوَ وَ الْعَافِیَۃَ وَ الْمُعَافَاۃَ فِی الدُّنْیَا وَالْآخِرَۃَ অর্থাৎ হে আল্লাহ পাক! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি! শেখ আবুল-আব্বাস মুরসি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেনঃ আমি আমার সাথীকে বললামঃ এটি দোয়া কবুল হওয়ার সময়, তোমার যা প্রয়োজন তা আল্লাহর কাছে চেয়ে নাও, আমার সেই সাথী দোয়া করলো, হে আল্লাহ আমাকে একটি দিনার (স্বর্ণ মুদ্রা) দান করো। তিনি বলেন: এখান থেকে অবসর হওয়ার পর আমি আমার পীর ও মুর্শিদ হযরত আবুল হাসান শাজলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর নিকট উপস্থিত হলাম, তখন সেই ব্যক্তিটিও আমার সাথে ছিল, এখনও তাঁর সাথে কোন কথাবার্তাই হয়নি, তার পূর্বেই শেখ আবুল-হাসান শাজলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সেই ব্যক্তিকে বললেন, “হে ভীরু, দোয়া কবুলিয়তের সময় তুমি শুধু একটি দিনার প্রার্থনা করেছো, তুমি কেন আবুল-আব্বাসের মতো দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করোনি। (মিরকাতুল মাফাতিহ, ৪/ ৩১৫, হাদীস নং ১৮৫৫)
হে আশিকানে রাসুল! জানা গেল? যদি আল্লাহ পাকের কোনো নেক বান্দাদের নিকট উপস্থিতি হয়, অলীদের মাযারে যাওয়া সৌভাগ্য হয়, এছাড়াও যখনই দোয়া প্রার্থনা করা হয় তখন খোলা মনে প্রার্থনা করা উচিত, আল্লাহ পাকের ভান্ডারে কোন অভাব নেই, তিনি দয়ালু এবং করুণাময়, আল্লাহ ওয়াহ্হাব। (অর্থাৎ অনেক বেশি দানকারী) তাই মহান আল্লাহ পাকের কাছে চাওয়ার সময় বান্দা কেন লজ্জা পাবে? কেন দুই, চার পয়সা, কয়েক বেলার খাবার বা অন্য কোন ছোট বাসনা চাইবে? ছোট-বড় সবকিছুই আল্লাহ পাকের কাছে চান, আর এমনও যেন না হয় শুধু পার্থিব নিয়ামত, ধন-সম্পদ চাচ্ছেন, আখেরাতের উন্নতি