Book Name:যশখ্যাতির প্রত্যাশা করার কুফল
না, এই কারণে “فِی الْاٰخِرَۃِ” (অর্থাৎ আখিরাতে তার কোন অংশ নেই) এর শর্তারোপ করা হয়েছে। (নুরুল ইরফান, ১৩০০ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদেরও উচিৎ যে, লোক দেখানো, নিজের বাহবা করানো এবং সমাজে সম্মান পাওয়ার জন্য নেক আমল করা থেকে বিরত থাকা এবং শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাওয়াব অর্জনের উদ্দেশ্যে আর নিজের আখিরাত উত্তম বানানোর জন্য নেকী করা।
রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যদি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি এমন কোন শক্ত শিলা খন্ডে কোন আমল করে, যার না তো কোন দরজা আছে আর না কোন জানালা, তবুও তার আমল প্রকাশ হয়ে যাবে এবং যা হওয়ার তাই হবে।
(মুসনাদে আহমদ, ৪/৫৭, হাদিস-১১২৩০)
প্রসিদ্ধ মুফাসসীর হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদিসে পাকের আলোকে লিখেন: এই মহান বাণীর উদ্দেশ্য হলো যে, তোমরা রিয়া করে সাওয়াব কেন নষ্ট করো! তোমরা একনিষ্ঠভাবে নেকী করো, গোপনে ইবাদত করো। আল্লাহ পাক তোমাদের নেকীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষদের জানিয়ে দিবেন, মানুষের অন্তর তোমাদের নেককার ভাবতে থাকবে। এটা পরীক্ষিত, অনেকে গোপনে তাহাজ্জুদ পড়ে থাকে, লোকেরা অযথাই তাকে তাহাজ্জুদ গুজার বলতে থাকে। তাহাজ্জুদ নয় বরং সকল নেকীর নূর চেহারা দ্বারা প্রকাশ পেয়ে যায়, যা দিনরাত দেখা যাচ্ছে, লোকেরা হুযুর গাউসে পাক (এবং) খাজা আজমিরী (رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِمَا) কে ওলী বলে থাকে, কেননা আল্লাহ পাক বলাচ্ছেন। এটাই হলো এই মহান বাণীর মর্ম। (মিরআতুল মানাজীহ, ৭/১৪৫)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিশ্চয় আল্লাহ পাকের নেককার বান্দারা একনিষ্ঠভাবে তাঁর সন্তুষ্টি ও খুশি অর্জনের জন্য আমল