Book Name:যশখ্যাতির প্রত্যাশা করার কুফল
ব্যাপারে তার দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে (অর্থাৎ তার প্রশংসা করে) তবে যাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখেন। (শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকী, ৫/৩৬৬, হাদীস ৬৯৭)
যশখ্যাতি প্রত্যাশা করার হুকুম
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেলো যে, যশখ্যাতি প্রত্যাশা করা (মানুষের মাঝে প্রসিদ্ধি ও নাম চাওয়া) একটি খুবই নিন্দনীয় কাজ, আর অপ্রসিদ্ধ অর্থাৎ নিজেকে মানুষের মাঝে প্রসিদ্ধ ও পরিচিত না করানো প্রশংসাযোগ্য। অতএব প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: নিশ্চয় আমার উম্মতের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যে, যদি সে তোমার নিকট এক দীনার চায় তবে তুমি তাকে দিবে না, যদি এক দিরহামও চায় তবে তুমি নিষেধ করে দিবে আর যদি এক পয়সা চায় তবুও তুমি অস্বীকার করবে, অথচ যদি সে আল্লাহ পাকের নিকট জান্নাত চায় তবে তিনি অবশ্যই তাকে প্রদান করবেন এবং যদি দুনিয়া প্রার্থনা করে তবে আল্লাহ পাক তাকে দুনিয়া শুধু এই কারণেই দিবে যে, দুনিয়া তার নিকট নিকৃষ্ট, অসংখ্য ফাটা পুরোনো পোশাকের লোক এমন যে, যদি সে কোন বিষয়ে আল্লাহ পাকের শপথ করে নেয় তবে আল্লাহ পাক তাকে অবশ্যই পূরণ করে দিবেন। (আল মু’জামুল আওসাত, ৫/৩৪৪, হাদীস ৭৫৪৮)
অপর এক হাদিসে পাকে এসেছে: জান্নাতবাসীরা ধুলামলিন চেহারা, উস্কোখুস্কো চুল ওয়ালা এবং ফাটা পুরোনো কাপড় ওয়ালা হয়ে থাকে, যাদেরকে কোন তোয়াক্কা করা হয়না। এরাই হলো ঐ লোক, যদি বাদশাহের নিকট যেতে চায় তবে তারা অনুমতি পায়না, মহিলাদেরকে বিবাহের বার্তা দিলে তবে অস্বীকার করে দেয়া হয়, যখন কথা বলে তখন তাদের কথা শোনা হয়না, তাদের প্রয়োজনীয়তা তাদের অন্তরে হালচাল পাকিয়ে দেয়, তারা এমন জান্নাতী যে, কিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে একজনের নূরও যদি