Book Name:যশখ্যাতির প্রত্যাশা করার কুফল
করে থাকে, তাইতো আল্লাহ পাক মানুষের অন্তরে তাদের আদব ও সম্মান সৃষ্টি করে দেন এবং এভাবেই সমগ্র জগতে তাদের তাকওয়া ও পরহেযগারীতার চর্চা হয়ে যায়। আর আমাদের অবস্থা এর সম্পূর্ণ বিপরীত যে, একে তো আমরা নেকী করিওনা এবং যদি কখনো কোন নেকী করে ফেলি তবে নিজের বাহবা করানোর জন্য মানুষের নিকট প্রকাশ করাতে দেরী করিনা। যশখ্যাতির বাসনার এই বাতেনী মারাত্মক রোগ থেকে বাঁচার জন্য প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কয়েকটি বাণী শুনি এবং সম্মান ও প্রসিদ্ধির আকাঙ্ক্ষাকে অন্তরে কখনোই স্থান দিবেন না।
(১) আল্লাহ পাকের আনুগত্যকে বান্দার পক্ষ থেকে করা প্রশংসার ভালবাসার সাথে মিলানো থেকে বাঁচতে থাকো, যেন তোমাদের আমল নষ্ট হয়ে না যায়।
(ফেরদাউসুল আখবার লিদ দায়লামী, ১/২২৩, হাদীস ১৫৬৭)
(২) সম্পদ এবং মর্যাদার ভালবাসা মুমিনের অন্তরে মুনাফেকিকে এমনভাবে বৃদ্ধি করে, যেমন পানি সবুজ উদ্ভিদ উদগত। (ইহইয়াউল উলুম, ৩/৩৪২,২৮৬)
(৩) দু’টি ক্ষুধার্ত নকড়ে ছাগলের পালে ততটা ধ্বংস করে না যতটা ধ্বংস যশখ্যাতির ভালবাসা (অর্থাৎ ধন সম্পদ ও সম্মান ও প্রসিদ্ধির ভালবাসা) মুসলমানের দ্বীনে করে থাকে। (তিরমিযী, ৪/১৬৬, হাদীস ২৩৮৩)
(৪) নিজের প্রশংসা পছন্দ করা মানুষকে অন্ধ বধির বানিয়ে দেয়।
(ফেরদাউসুল আখবার লিদ দায়লামি, ১/৩৪৭, হাদিস- ২৫৪৮)
মন্দ হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট
হযরত আনাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত যে, নবীয়ে রহমত, শফীয়ে উম্মত صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “কোন মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, মানুষ তার দ্বীন ও দুনিয়ার