$header_html

Book Name:যশখ্যাতির প্রত্যাশা করার কুফল

জন্য পরলোকে কিছুই নেই, কিন্তু আগুনই এবং নিস্ফল হয়েছে যা কিছু ওখানে করতো এবং বিলীন হয়েছে যা তাদের কৃতকর্ম ছিলো

    এই আয়াতও সাধারণত যশখ্যাতির প্রত্যাশা করা অন্তর্ভুক্ত যশখ্যাতির প্রত্যাশা করা দুনিয়াবী জীবনের স্বাদ সাজসজ্জার মধ্যে একটি অনেক বড় স্বাদ সৌন্দর্য (ইহইয়াউল উলুম, ৩য় খন্ড)

অপর এক স্থানে ইরশাদ হচ্ছে:

مَنْ كَانَ یُرِیْدُ حَرْثَ الْاٰخِرَةِ نَزِدْ لَهٗ فِیْ حَرْثِهٖۚ-وَ مَنْ كَانَ یُرِیْدُ حَرْثَ الدُّنْیَا نُؤْتِهٖ مِنْهَا وَ مَا لَهٗ فِی الْاٰخِرَةِ مِنْ نَّصِیْبٍ(۲۰)

(পারা ২৫, সূরা শূরা, আয়াত ২০)

কানযুল ঈমানের অনুবাদ: যে আখিরাতের ফসল চায়, আমি তার জন্য তার ফসল বৃদ্ধি করে দিই, আর যে দুনিয়ার ফসল কামনা করে আমি তাকে তা থেকে কিছু প্রদান করবো এবং আখিরাতে তার কোন অংশ নেই

    তাফসীরে নুরুল ইরফান থেকে এই আয়াতে মুবারাকার ভিন্ন ভিন্ন অংশের তাফসীর দেখুন: (যে আখিরাতের ফসল চায়) অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সন্তুষ্টি চাইবে, রিয়া বা লোক দেখানোর জন্য কাজ করবে না। (আমি তার জন্য তার ফসল বৃদ্ধি করে দিই) অর্থাৎ তাকে বেশি পরিমাণে নেক কাজ করার শক্তি-সামর্থ্য দেবো, সৎ কার্যাদি সম্পাদন করা সহজ করে দেবো, সৎ কার্যাদির সাওয়াব বিনা হিসেবে দান করবো। যে দুনিয়ার ফসল কামনা করে অর্থাৎ নিছক দুনিয়া উপার্জনের জন্য কাজ করবে, মান-সম্মান লাভের জন্য আলেম হাজী হবে আর গণীমত লাভের জন্য গাজি হবে, আখিরাতে তার কোন অংশ নেই কেননা সে আখিরাতের জন্য কোন কাজই করেনি। বোঝা গেলো যে, ‘রিয়াকার’ সাওয়াব থেকে বঞ্চিত থাকে, কিন্তু শরীয়তের বিধানানুযায়ী তার কর্ম সঠিক। রিয়া সহকারে নামায সম্পন্ন করলেও ফরয সম্পাদন হয়ে যাবে, কিন্তু সাওয়াব পাবে



$footer_html