Book Name:যশখ্যাতির প্রত্যাশা করার কুফল
‘যশখ্যাতির প্রত্যাশা করা’র সংজ্ঞা
শায়খে তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত আল্লামা মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ বলেন: ‘যশখ্যাতির প্রত্যাশা করা’র সংজ্ঞা (Defination) হলো: “প্রসিদ্ধি ও সম্মানের আকাঙ্ক্ষা করা।” (নেকীর দাওয়াত, ১ম অংশ, ৭৩ পৃষ্ঠা)
হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাজ্জালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ যশখ্যাতির প্রত্যাশা করার কুফল উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন: “প্রসিদ্ধির উদ্দেশ্য হলো মানুষের মনে স্থান করে নেয়া আর এই আকাঙ্ক্ষা সকল ফিতনার মূল।” (ইহইয়াউল উলুম, ৩/৩৪) অতএব আমাদের উচিত যে, “যশখ্যাতির প্রত্যাশা করা” অর্থাৎ প্রসিদ্ধির আকাঙ্ক্ষার উপর প্রভাব লাভ করার জন্য কুরআনে পাক ও হাদিসে মুবারাকায় বর্ণিত এই ক্ষতির প্রতি চিন্তা ভাবনা করা, অতএব
২০ পারা সূরা কিসাসের ৮৩ নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে:
تِلْكَ الدَّارُ الْاٰخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِیْنَ لَا یُرِیْدُوْنَ عُلُوًّا فِی الْاَرْضِ وَ لَا فَسَادًاؕ-
কানযুল ঈমানের অনুবাদ: এটা আখিরাতের আবাস, আমি তাদেরই জন্য নির্ধারিত করি, যারা ভূ-পৃষ্ঠে অহংকার চায়না এবং না অশান্তি।
এই আয়াতে মুবারাকায় প্রসিদ্ধির আকাঙ্ক্ষা এবং ফাসাদের আকাঙ্ক্ষাকে উল্লেখ করে এই বর্ণনা করা হয়েছে যে, আখিরাত এরই জন্য, যারা এই দু’টি আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত হবে।
পারা ১২ সূরা হুদের ১৫, ১৬নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে:
مَنْ كَانَ یُرِیْدُ الْحَیٰوةَ الدُّنْیَا وَ زِیْنَتَهَا نُوَفِّ اِلَیْهِمْ اَعْمَالَهُمْ فِیْهَا وَ هُمْ فِیْهَا لَا یُبْخَسُوْنَ(۱۵)
اُولٰٓىٕكَ الَّذِیْنَ لَیْسَ لَهُمْ فِی الْاٰخِرَةِ اِلَّا النَّارُ ﳲ وَ حَبِطَ مَا صَنَعُوْا فِیْهَا وَ بٰطِلٌ مَّا كَانُوْا یَعْمَلُوْنَ(۱۶)
কানযুল ঈমানের অনুবাদ: যে ব্যক্তি পার্থিব জীবন ও সাজ-সজ্জা কামনা করে, আমি তাতে তাদের কৃততর্মের ফলাফল দিয়ে দিবো এবং এর মধ্যে কম দেয়া হবে না। এরা হচ্ছে ঐসব লোক, যাদের