Book Name:Imam e Hussain Ki Seerat
করলে তাওবা রবকি রহমত হে বড়ি
কবর মে ওয়ার না সাজা গো গি কড়ি
(ওসাইলে বখশিশ, পৃষ্ঠা: ৭১১ ও ৭১২)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেলো, ইমামে আলী মাকাম ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কবরস্থানেও যেতেন। আমাদেরও উচিত শিক্ষা অর্জনের জন্য কবরস্থানে যাওয়া, সেখানে দাফনকৃত মুসলমানদের জন্য ফাতিহা শরীফ পড়া, তাদের জন্য ক্ষমার দু'আ করা এবং সাথে সাথে শিক্ষা গ্রহণ করা। সেখানে বসে চোখ বন্ধ করে (কল্পনা) করুন, ভাবুন যে, অচিরেই আমাকেও এখানেই আসতে হবে। আহা! আমারও শেষ ঠিকানা এটাই হবে। হায়! হায়! কবরের এই (একাকীত্ব), (ভয়), অন্ধকার...!! আহা! কবর আমার (সৌন্দর্য) নষ্ট করে দেবে, (শক্তি) ও (বল) সব শেষ হয়ে যাবে, চোখ গলে বেয়ে পড়বে, মাংস ঝরে যাবে। আহা! আমার এই সুন্দর দেহকে (Beautiful Body) মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হবে এবং তারপর...!! তারপর কিয়ামতের দিন ওঠা, রব্বুর রহমানের সামনে (হাজির) হওয়া এবং নিজের আমলের হিসাব দিতে হবে।
কবর রোওযানা ইয়ে করতি হে পুকার
মুঝমে হে কিড়ে মাকুড়ে বেশুমার
ইয়াদ রাখ! মাই হু আন্ধিরি কোঠরি
তুঝকো হোগি মুঝ মে সুন! ওয়াহশত বড়ি
মেরে আন্দার তু একেলা আয়ে গা
হা মগর আ’মাল লেতা আয়ে গা
ঘুপ আন্ধিরি কবর মে যব যায়ে গা
বে আমল বে ইন্তিহা ঘাবরায়ে গা
করলে তাওবা রবকি রহমত হে বড়ি
কবর মে ওয়ার না সাজা গো গি কড়ি
(ওসাইলে বখশিশ, পৃষ্ঠা: ৭১১ ও ৭১২)
এই (পদ্ধতি)-তে শিক্ষা ও উপদেশের জন্য আমরা কবরস্থানে যাওয়ার অভ্যাস (Habit) বানাই। اِنْ شآءَ الله অন্তরের মরিচা দূর হবে, গুনাহর প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হবে এবং নেকী করার (মানসিকতা) তৈরি হবে। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে আমলের তৌফিক দান করুক।