Book Name:Imam e Hussain Ki Seerat
হুসাইনের ভালোবাসার বরকতে ক্ষমা লাভ হয়ে গেলো
আল্লামা ইবনুল জাওযী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লেখেন: একবার হযরত আমর বিন লাইস رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর সামনে তাঁর সৈন্যবাহিনী সমবেত করা হলো। তিনি তাঁর সৈন্যবাহিনীর আধিক্য দেখে মনে মনে ভাবলেন: আহা! যদি ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর শাহাদাতের সময় আমি কারবালায় উপস্থিত থাকতাম, আমার কাছে এতই সৈন্য (Army) থাকতো, তাহলে আমি আমার প্রাণ, আমার শান-শওকত এবং সমস্ত সৈন্যবাহিনী তাঁর কদমে কুরবান (Sacrifice) করে দিতাম। (ওসাইলে ফিরদাউস, পৃষ্ঠা: ৩৫)
ঐ যুগের কোনো একজন ওলীর স্বপ্নে গায়েবের(অদৃশ্যের) খবর রাখেন যিনি সেই নবী, রসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর যিয়ারত হলো,নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: আমর বিন লাইসকে বলে দাও যে, তার মনে যে খেয়াল এসেছে, আমি সে বিষয়ে অবগত এবং আমি তার এই ইচ্ছাকে কবুল করে নিয়েছি। আল্লাহ পাক তাকে এই ইচ্ছার উপর অনেক বড় প্রতিদান দান করুক। (বুস্তানুল ওয়ায়েযীন,, পৃষ্ঠা: ২১৩)
কিতাবে লেখা আছে: হযরত আমর বিন লাইস رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ইন্তিকালের (Death) পর কেউ তাঁকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করলো: আল্লাহ পাক আপনার সাথে কী আচরণ করেছেন? তিনি বললেন: ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ভালোবাসার কারণে আমার মনে যে একটি খেয়াল এসেছিলো, তারই বরকতে আল্লাহ পাক আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
(মাদারিজুন নুবুওয়াহ, প্রথম খন্ড, নবম অধ্যায়,, অংশ: ১, পৃষ্ঠা: ৩০৫)
! سُبْحَانَ الله !!سُبْحَانَ الله ইমামে আলী মাকাম, ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের কী অসাধারণ পুরস্কার...!! আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ইমামে আলী মাকাম, ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর প্রতি খাঁটি, অকৃত্রিম, ঈমানী ভালোবাসা নসীব করুক। আল্লাহ পাক আমাদের প্রজন্মকেও (Generations) সাহাবা ও আহলে বাইতের খাঁটি প্রেমিক বানিয়ে দিক। اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
মেরে ঝুলি মে না কিঁউ হো দো জাহা কি নে’মাতেঁ-
মাই হু মাঙ্গতা মে গাদা আসহাব ও আহলে বাইত কা
কিঁউ হো মাইউস আয় ফকীরো! আও আ কার লুট লো-