Book Name:Imam e Hussain Ki Seerat
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের আকা, সুলতানে কারবালা, ইমামে আলী মাকাম, ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অনেক ইবাদতকারী, মুত্তাকী ও পরহেযগার ছিলেন। আল্লামা ইবনে আসীর জাযারী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লেখেন যে: ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অধিক পরিমাণে নামায পড়তেন, রোযা রাখতেন, হজ্জ করতেন, সদকা ও খয়রাত (Charity) করতেন এবং সকল ভালো কাজ সম্পাদন করতেন। (উসদুল গাবা, খন্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৭, ক্রম: ১১৭৩) শাহজাদা ইমামে আলী মাকাম হযরত ইমাম যাইনুল আবেদীন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: আমার আব্বাজান ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ দিন-রাতে এক হাজার নফল নামায আদায় করতেন। (আল-ইকদুল ফরীদ,, খন্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ১১৪) ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সম্পর্কে এটাও বর্ণিত আছে যে, তিনি ২৫টি হজ্জ পায়ে হেঁটে আদায় করেছেন। (তারিখে মদীনা দামিশক, খন্ড: ১৪, পৃষ্ঠা: ১৮০)
আশুরার রাতে যখন ইমামে আলী মাকাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কারবালার ময়দানে ছিলেন, তখন তিনি তাঁর ভাই হযরত আব্বাস আলামবারদার رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে বললেন: কোনোভাবে যুদ্ধকে আগামীকালের জন্য স্থগিত (Postpone) করিয়ে দিন! যাতে আজ রাতে আমরা আল্লাহ পাকের ইবাদত করতে পারি। আল্লাহ পাক খুব ভালো করেই জানেন যে, আমার (১) নামায পড়া, (২) কুরআনুল কারীমের তিলাওয়াত করা, (৩) অধিক পরিমাণে দু'আ করা এবং (৪) অধিক পরিমাণে ইস্তেগফার করা খুবই পছন্দ। (আল-কামিল ফিত তারিখ,, খন্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ১৬৬)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ভালোবাসা আনুগত্য করায়। ইমামে আলী মাকাম ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর প্রতি আমাদের ভালোবাসা কেমন? আমরা একটু চিন্তা করি? ১০ই মুহাররমুল হারামের রাতটি ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর বাহ্যিক জীবনের শেষ রাত ছিল, কিন্তু আল্লাহ পাকের ইবাদতের প্রতি তাঁর আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখুন!
হায়! হায়! হায়! আমরা ইমাম হুসাইনের গোলামরাও যদি আমাদের মাহবুবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইবাদত ও রিয়াযত করতে করতে নিজেদের জীবনের দিন-রাত অতিবাহিত করতাম। মনে রাখবেন! হাদীস শরীফে আছে: বান্দা তারই সাথে থাকবে, যার সাথে সে