Imam e Hussain Ki Seerat

Book Name:Imam e Hussain Ki Seerat

কোন কুমন্ত্রণা দেয়, তবে আল্লাহর আশ্রয় চাইবে নিঃসন্দেহে তিনি শ্রোতা, জ্ঞাতা নিশ্চয় সব লোক,যারা তাকওয়ার অধিকারি হয়, যখনই তাদেরকে শয়তানী খেয়ালের ছোঁয়া স্পর্শ করে,তখন তারা সাবধান হয়ে যায়, তখন তাদের চক্ষু খুলে যায়

 

অতঃপর বললেন: (হে ইসাম) নিজের উপর বোঝা হালকা রাখো...!! আমি আল্লাহ পাকের কাছে তোমার জন্য এবং নিজের জন্য ক্ষমার প্রশ্ন করছি

(তাফসীরে বাহরুল মুহীত, পারা: , আল-'রাফ, আয়াত: ২০১ এর অধীনে, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫৭০)

!سُبْحَانَ الله প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! চিন্তা করুন! কী সুন্দর (ভঙ্গি), কত সুন্দর (চরিত্র) সামনের জন মন্দ বলছে আর ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তাকে ক্ষমার দু' দিচ্ছেন ঘৃণা দূর করে ভালোবাসা বাড়ানোর জন্য এটা খুবই সুন্দর একটি (পন্থা) আমাদেরও এই পন্থা গ্রহণ করা উচিত আল্লাহ পাক কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেন:

 

اِدْفَعْ بِالَّتِیْ ھِیَ اَحْسَنُ فَاِذَا الَّذِیْ بَیْنَکَ وَ بَیْنَہٗ عَدَاوَۃٌ کَاَنَّہٗ وَلِیٌّ حَمِیْمٌ

(পারা ২৪, হা-মীম সাজদা, আয়াত ৩৪)   কানযুল ঈমানের অনুবাদ: মন্দকে ভাল দ্বারা প্রতিহত করো তখনই ব্যক্তি যে, তোমার মধ্যে তার মধ্যে শত্রুতা ছিলো,এমন হয়ে যাবে যেমন অন্তরঙ্গ বন্ধু

 

তাফসীরে সিরাত-উল-জিনানে আছে: এই আয়াত থেকে জানা গেলো যে, দ্বীন ইসলামে মুসলমানদের (নৈতিকতা)-এর অত্যন্ত উচ্চ, (ব্যাপক) এবং (অসাধারণ) শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, মন্দকে ভালোর দ্বারা প্রতিহত করো; যেমন কারো পক্ষ থেকে কষ্ট পৌঁছালে তার উপর ধৈর্য ধরো, কেউ মূর্খ্যতা বোকামির আচরণ করলে তার উপর সহনশীলতা (Comprehensive) ধৈর্য (Tolerance)এর বহিঃপ্রকাশ (প্রদর্শন) করো এবং নিজের সাথে (দুর্ব্যবহার) হলেও (ক্ষমা মার্জনার) সাথে কাজ নাও...!!

( তাফসীরে সিরাত-উল-জিনান, পারা: ২৪, হা-মীম আস-সাজদা, আয়াত: ৩৪ এর অধীনে, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৬৪১)

সাইয়্যিদী 'লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নানায়ে হুসাইন, সুলতানে দারাইন  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  নাত শরীফে লেখেন:

বদ হাঁসে তুম উন কি খাতির - রাত ভর রুয়ো করাহো

বদ করেঁ হার দম বুরায়ি - তুম কহো উন কা ভালা হো