Book Name:Shoq e Madina
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর যদি কখনো তারা নিজেদের আত্মার প্রতি যুলুম করে তখন হে মাহবুব! (তারা) আপনার দরবারে হাযির হয়, অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, আর রাসূল তাদের পক্ষে সুপারিশ করেন, তবে অবশ্যই আল্লাহকে অত্যান্ত তাওবা কবুলকারী দয়ালু পাবে।
এই আয়াতে আমাদেরকে গুনাহ ক্ষমা করার একটি দিক নির্দেশনা দিলেন যে, যখন বান্দা গুনাহ করে বসে তার উচিত নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে উপস্থিত হওয়া, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে উপস্থিত হয়ে নিজেও তাওবা করবে, আল্লাহ পাকের নিকট মাগফিরাতের ভিক্ষাও চাইবে আর এর সাথে সাথে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم’ও যদি সেই গুনাহগারের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করে তাহলে অবশ্যই আল্লাহ পাককে তওবা কবুল কারী ও ক্ষমাকারী হিসাবে পাবে।
এ থেকে জানা যায়! মদীনা মুনাওয়ারাতে রাওযায়ে মুস্তফার সামনে উপস্থিত হওয়ার ফলে মাগফিরাতের ভিক্ষা পাওয়া যায়।
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন:
وَ سَارِعُوۡۤا اِلٰی مَغۡفِرَۃٍ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ جَنَّۃٍ
(পারা ৪, আলে ইমরান, আয়াত ১৩৩)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর দ্রুত আগ্রসর হও নিজ রবের ক্ষমা ও জান্নাতের দিকে।
আলা হযরতের সম্মানিত পিতা মাওলানা নকী আলী খাঁন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন সেই স্থান ঈমান উদ্দীপক অনেক মাদানী ফুল প্রদান করে থাকে, তাঁর বাণীর সারাংশ হলো এটাই যে, এ উভয় আয়াতকে মিলিয়ে দিন! প্রথম আয়াতে আল্লাহ পাক এটা বলেছেন যে, মদীনা মনোওয়ারাতে উপস্থিত হওয়া, সেখানে তওবা করাতে, রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর শাফায়াতের বরকতে ক্ষমা লাভ হয়, অন্য আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন: প্রতিপালকের ক্ষমার