Book Name:Ala Hazrat Aik Peer e Kamil
আমাদের আক্বা মাওলা, মুহাম্মদে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم অনেকবার বায়আত নিয়েছেন এবং সাহাবায়ে কিরাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর হাত মুবারকে হাত রেখে বায়আত হয়েছেন, এগুলোর মধ্য হতে একটি বায়আতের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ পাক কুরআন মজিদে ইরশাদ করেন:
لَقَدۡ رَضِیَ اللّٰہُ عَنِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اِذۡ یُبَایِعُوۡنَکَ تَحۡتَ الشَّجَرَۃِ
(পারা: ২৬, সূরা ফাতাহ, আয়াত: ১৮)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন ঈমানদারদের উপর যখন তারা এই বৃক্ষের নিচে আপনার নিকট বায়আত গ্রহণ করছিলো।
যার কোন পীর নেই, তার পীর হলো শয়তান
ফাতাওয়ায়ে রযবীয়া, খন্ড: ২৬, পৃষ্ঠা: ৫৭৫ তে রয়েছে (যেটার সারাংশ কিছুটা এরকম): একটি হাদীস বর্ণনা করা হচ্ছে: مَنْ لَاشَیْخَ لَہٗ فَشَیْخُہُ الشَّیْطٰن যার কোন পীর নেই, তার পীর হলো শয়তান। এই বর্ণনার সম্পূর্ণ উদাহরণ হলো ঐসব লোক যারা মাশায়িখ কিরামদের মানেই না।
(ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২৬/৫৭৫)
নেককার পরহেযগার ব্যক্তিকেও পীর ধরুন
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! অনেক লোকের কুমন্ত্রণা আসে যে আমার পীর ধরার প্রয়োজন নেই, আমি তো নামাযও পড়ি, রোযাও রাখি, নফল ইবাদতও করি, বাতেনী গুনাহ থেকেও তো বেঁচে থাকি ইত্যাদি ইত্যাদি, এরকম বিষয়াদি চিন্তা করে লোক পীর ধরা থেকে বঞ্চিত থাকে।
এধরনের লোকদের খিদমতে আরয হলো প্রথমতো নিজে নিজেকে নেককার মনে করাটাই সঠিক নয়, এর মধ্যে নিজেকে নিজে শ্রেষ্ট মনে করার গন্ধ রয়েছে, দ্বিতীয়ত মনে রাখবেন! যে কেউ যতই প্রসিদ্ধ হোক না কেন সেও যেন পীরে কামিলের