Book Name:Ala Hazrat Aik Peer e Kamil
আমার মুরিদ করার কোন শখ নেই কিন্তু এটি যে মানুষ যেন সরল সঠিক পথের উপর অটল থাকে (অর্থাৎ আমি শুধুমাত্র এটার জন্যই মুরিদ করিয়ে থাকি যাতে লোক সঠিক পথে থাকে, এটা ব্যতীত মুরিদ করার আমার কোন লোভ নেই, আরও বলেন:) এটা ঠিক নয় যে আজ এই দরজায় দাঁড়াবে, আর কাল ঐ দরজায়। یَکْ دَرْ گِیْر مُحْکَم گِیْر (অর্থাৎ একটি দরজা ধরো! শক্ত করে ধরো!)। এক্ষেত্রে ঐ যুবক হাত জোড় করে আরয করলো: হুযুর! এমনই হবে, আল্লাহর ওয়াস্তে আমার অপরাধ ক্ষমা করে দিন। এবার আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ঐ যুবককে দ্বিতীয়বার বায়আত করালেন আর ঐ যুবক খুশিমনে তার ঘরে চলে গেলো। (হায়াতে আ’লা হযরত, ৩/ ১৯৫)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! আমাদের আক্বা মাওলা, আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁর মুরিদদের প্রতি কেমন দৃষ্টি রাখতেন। ঐ ব্যক্তি যার হাতে সেই যুবকটি বায়আত হয়েছে, হয়তো সে কোন ভালো মানুষ ছিলো না, এজন্য তো তার আশেপাশের লোকেরা বলেছে: সেখানে তুমি শরীয়তে বায়আত হয়েছো, এখানে তরীকতে বায়আত হয়ে যাও।
এটা অনেক বড় পথভ্রষ্টতা, এখনো কিছু লোক তরিকতকে শরীয়ত থেকে পৃথক মনে করে, অথচ শরীয়ত ও তরিকত ২টি পৃথক জিনিস নয়, তরিকত শরীয়তেরই একটি অংশ, পীরানে তরিকত যারা আসলেই হক এবং কামিল পীর হয়ে থাকে তারা তো স্বয়ং নিজেরাই অধিকহারে ইবাদত করে থাকেন এবং তাদের মুরিদদেরকেও খুব বেশি বেশি ইবাদত ও রিয়াযত এমনকি নফল নামায ও রোযা রাখারও শিক্ষা দিয়ে থাকেন অথচ এই নির্বোধ যারা শরীয়ত ও তরিকতের মধ্যে পার্থক্য করছে, এরা তো ফরয