এসব শর্তের মধ্যে কোন একটি শর্ত কম হয় তবে বায়আত জায়িয নেই। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২৬/৫৬৮)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাঁর কামিল পীরের দৃষ্টিতে

    ১২৯৪ হিজরির ঘটনা, ঐসময় আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বয়স মুবারক ছিলো ২২ বছর, একদিন সায়্যিদি আ’লা হযরত কিছু চিন্তা করে কান্না করতে থাকেন আর কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লেন, স্বপ্নে দেখলেন যে তাঁর দাদাজান হযরত মাওলানা মুফতী রেযা আলী খাঁন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাশরিফ আনলেন একটি ছোট বক্র দিয়ে বললেন: অতিশীঘ্রই ঐ ব্যক্তি আগমন করবে যে তোমার মনের ব্যথাকে দূরীভূত করবে। পরের দিন হযরত মাওলানা শাহ আব্দুল কাদির বাদায়ুনী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাশরিফ আনলেন এবং আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে সাথে নিয়ে মারহারা চলে গেলেন, মারহারা শরীফের স্টেশনে পৌঁছতেই আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: শায়খে কামিলের সুগন্ধি আসছে। (ফয়যানে আ’লা হযরত, ৩১৫ পৃষ্ঠা)

    سُبْحٰنَ الله কামিল মুরিদের অবস্থা দেখুন! এখনো মুরিদ হয়নি, কামিল পীরের সুগন্ধি আগে থেকেই আসছে। স্টেশনের মধ্যেই একটি সরাইখানাতে আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ গোসল করেন, নতুন কাপড় পরিধান করেন, অতঃপর খানেকায়ে বারকাতীয়াতে উপস্থিত হয়ে গেলেন।

    যখনই খানেকায়ে বারকাতীয়ার শায়খে কামিল, মারহারার মুকুট, ইমামুল আউলিয়া হযরত মাওলানা শাহ আ’লে রাসূল মারহারবী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বরকত সম্পন্ন খিদমতে পৌঁছলেন তো শাহ আ’লে রাসূল رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ দেখা মাত্রই বললেন: আসুন! আমি তো অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছি।

(ফয়যানে আ’লা হযরত, ৩১৬ পৃষ্ঠা)